
গত কয়েকদিনে সবধরনের সবজি, ডিম ও পিয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছেন বাজার করতে আসা ক্রেতারা। তারা বলছেন, বাজারে গত কয়েকদিন ধরেই সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সাধারণ মানুষের জীবনে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সরকারের নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা উচিত। বিক্রেতারা বলছেন, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি, মৌসুমের শেষ- এই দুই কারণের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সবজির চাহিদা আরও বেড়ে যাওয়ার কারণেই দাম বাড়ছে। গতকাল রাজধানীর কাওরান বাজার, পশ্চিম তেজতুরি বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
দেখা গেছে, প্রতি কেজি পেঁপে ৩৫ টাকায়, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পটোল প্রতি কেজি ৯০ টাকা, ধুন্দুল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, প্রতি কেজি শসা ১০০ টাকা, বেগুন (লম্বা) প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২৮০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ৬০ টাকা এবং গাজর প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ডিমের দাম এখন ১৪৫ টাকা এবং কেজি প্রতি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। এ ছাড়াও মোটা চালের দাম এখন কেজিতে ৬০ টাকার বেশি। মাঝারি মানের মিনিকেট ও নাজিরশাইল ৬৫-৭০ টাকা, ভালো মানের ব্র্যান্ড চাল ৯০-১০০ টাকার কাছাকাছি। এখনো স্থিতিশীল হয়নি চালের বাজার।
রাজধানীর কাওরান বাজারে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসা সাদেক হোসেন বলেন, বাজারে দেখছি সবধরনের সবজির অতিরিক্ত দাম। বিগত কিছুদিন ধরে সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে, অথচ কী কারণে বাড়তি যাচ্ছে বা বাজার নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। যদি সবজির এত দাম হয়, তাহলে সাধারণ ক্রেতা খাবে কি?
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের মুরগির ডিমের (লাল) দাম ডজনপ্রতি ১৫০ টাকা। আর সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন। খুচরা দোকানগুলোতে ১৩ টাকা পিছ বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রোটিনের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকলে তাদের খাদ্য তালিকা থেকে মাছ-মাংস দ্রুতই বাদ পড়ে যাবে। তারা সরকারের কাছে বাজার মনিটরিং ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে।
বিক্রেতারা বলছেন, মৌসুমের শেষ ও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সবজির ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া বাজারে মৌসুমের শেষের দিকে আসলে বাজারে সবজির দাম একটু বাড়েই। বৃষ্টিতে অনেক ক্ষেত তলিয়ে গেছে, গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়েছে। পাইকারি দামের এই বৃদ্ধি সরাসরি খুচরা বাজারে পড়ছে। তবে খুব দ্রুতই দাম কমে আসবে বলেও আশা করছেন তারা।