
চিকিৎসায় অবহেলাজনিত ঘটনার প্রতিকার পেতে গত দেড় বছরে রেকর্ডসংখ্যক অভিযোগ জমা পড়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে (বিএমডিসি)। এ সময়ে ৬০টির বেশি আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা। জুলাই বিপ্লবের পর গতি বাড়ায় মিলছে প্রতিকারও। গত ১০ মাসেই ডজনের বেশি চিকিৎসকের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়েছে। বিএমডিসির ইতিহাসে এক বছরের মধ্যে শাস্তির হারে এটাই সর্বোচ্চ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপরাধ সব সময়ই হয়েছে, কিন্তু প্রতিকার পাওয়ার জায়গা জানতে না পারায় অভিযোগের হার কম ছিল। বর্তমানে মানুষের মধ্যে সচেতনতাবোধ বেড়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের আগে অভিযোগুলো দিনের পর দিন ঝুলে থাকত, নিষ্পত্তির ঘটনা ছিল খুবই কম। এ ছাড়া অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরও গোপন সমঝোতায় অনেক অপরাধীই বেঁচে যেতেন। তবে বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশে বিএমডিসি পুনর্গঠিত হলে গতি বেড়ে যায়। এরপর থেকে একের পর এক বিচার নিষ্পত্তি হয়েছে।
বিএমডিসির তথ্যমতে, চিকিৎসায় অবহেলাজনিত অভিযোগে বিগত বছরগুলোতে ২০ থেকে ৩০টি অভিযোগ জমা পড়ত। কিন্তু ২০২৪ সালে এই সংখ্যা দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সংস্থাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৪৫ বছরে প্র্যাথমিকভাবে ৪৪৫টি অভিযোগের তথ্য যাচাই-বাছাই করেছে। এর মধ্যে আমলযোগ্য অভিযোগ ছিল ১৭২টি। এসব অভিযোগের ৬১টি এসেছে ২০২৪ সালে। এ ছাড়া আগের বছর ২০২৩ সালে ছিল ১৮টি ও ২০২২ সালে ২৮টি। আর চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছয় মাসে ২৩টি অভিযোগ এসেছে।
১০ মাসেই ১৩ চিকিৎসকের নিবন্ধন স্থগিত
বিএমডিসির নিয়ম অনুযায়ী, অভিযোগের সত্যতা মিললে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী স্থায়ীভাবে নিবন্ধন হারাতে পারেন চিকিৎসক। তবে দেশের ইতিহাসে চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসকের আজীবনের জন্য নিবন্ধন বাতিলের নজির নেই।
চিকিৎসায় অবহেলার প্রথম শাস্তি হয় ১৯৯৩ সালে। পিত্তথলির অস্ত্রোপচারে ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে প্র্যাণ হারান কুমিল্লা ইয়াংম্যান বুড্ডিস্টের সভাপতি শীল ভদ্র ভিক্ষু। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসক অরুণ জ্যোতি চাকমাকে শুরুতে আজীবনের জন্য নিবন্ধন বাতিল করা হয়। তবে দুই বছরের মাথায় নিবন্ধন ফিরে পান ওই চিকিৎসক। যদিও তিনি আর চিকিৎসা পেশায় ফেরেননি।
বিএমডিসি বলছে, এখন পর্যন্ত মোট অভিযোগের মধ্যে ৯৩টি নিষ্পত্তি হয়েছে, বিচারাধীন ৭৯টি। বিচারে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২৯ জন চিকিৎসকের বিভিন্ন মেয়াদে নিবন্ধন স্থগিত করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ১০ মাসেই নিবন্ধন স্থগিত হয়েছে ১৩ জন চিকিৎসকের, যা এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া আরো আট চিকিৎসক ও ১০ হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে।
গত ৩০ জুন বিএমডিসির এক প্রজ্ঞাপনে ওই ১৩ চিকিৎসকের ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত নিবন্ধন স্থগিত করা হয়। যেখানে আলোচিত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাবও (স্বপ্নীল) রয়েছেন।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর ধানমন্ডির ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্বপ্নীলের কাছে যান প্রকৌশলী আফসার আহমেদ। সেখানে এন্ডোস্কপি, কোলন্সকপিসহ কয়েকটি পরীক্ষার পরামর্শ দেন। চারদিন পর ৯ নভেম্বর চিকিৎসকের দেওয়া সময় অনুযায়ী সকালে হাসপাতালে উপস্থিত হন আফসার। কিন্তু পরীক্ষাটি করা হয় রাত ৮টায়। দীর্ঘসময় পর পরীক্ষা করলেও রোগীর শারীরিক অবস্থার কোনো পর্যবেক্ষণ না করেই অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগের নির্দেশ দেন ডা. স্বপ্নীল। পরীক্ষার একপর্যায়ে আফসারকে আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) নেওয়া হয়। কারণ জানতে চাইলে বলা হয়, আফসারের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হচ্ছে। ওইদিন রাত দেড়টার দিকে হাসপাতাল থেকে আফসারের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
এ ঘটনায় দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় ওঠে। আফসার আহমেদের মৃত্যুর জন্য ল্যাবএইড হাসপাতালের অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি চিকিৎসক স্বপ্নীলের অদক্ষতা, অবহেলা ও গাফিলতিকে দায়ী করে তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে শাস্তি দাবি করেন তার ভাই। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিএমডিসিকেও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। দীর্ঘসময় সেটি তদন্তের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিযোগের সত্যতা পেয়ে স্বপ্নীলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে স্বপ্নীলের নিবন্ধন পাঁচ বছরের জন্য স্থগিত করেছে বিএমডিসি।
রয়েছে বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কাও
সুন্নতে খতনা করাতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর শিশু আয়ান আহমেদকে নেওয়া হয়েছিল ঢাকার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অ্যানেসথেসিয়া জটিলতায় এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থেকে মারা যায় শিশুটি। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করা দায়সারা প্রতিবেদন দিলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় মামলাও করে আয়ানের পরিবার। কিন্তু দেড় বছরেও চার্জশিট দেয়নি থানাপুলিশ। এমনকি বিএমডিসিতে অভিযোগ দিয়েও এখন পর্যন্ত প্রতিকার মেলেনি।
গত ৮ জুলাই আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ আমার দেশকে বলেন, ‘বিএমডিসিতে অভিযোগ দেওয়ার অনেক দিন হলো, কিন্তু এখনো কোনো সুরাহা হলো না। আদালতে শুনানির জন্য ওঠে কিন্তু পুলিশ চার্জশিট দেয় না। অন্যদিকে মাস দুয়েক আগে বিএমডিসি ডেকে নিয়ে আবারও ঘটনা শুনেছে। অবস্থা যা, সঠিক বিচার পাব কি না সেটা নিয়েই এখন আশঙ্কায় আছি।’
এদিকে শুধু আয়ান আহমেদেরই নয়, বরং ঝুলে আছে আলোচিত ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতক মৃত্যুর ঘটনার বিচারও। অভিযোগের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত নিষ্পত্তি করতে পারেনি বিএমডিসি।
জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের ভিডিও দেখে ২০২৩ সালের ১৪ জুন রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে কুমিল্লা থেকে আসেন ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী আঁখি। কিন্তু চিকিৎসকদের অবহেলায় শুরুতে নবজাতক এবং এক সপ্তাহ পর মা আঁখির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হলে দেশব্যাপী কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা। তবে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন মূল অভিযুক্ত চিকিৎসক সংযুক্তা সাহা।
আলোচিত এ ঘটনার সর্বশেষ অবস্থা জানতে গত ৭ জুলাই বিএমডিসিতে গিয়ে জানা গেছে, ঘটনাটি তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। কবে নাগাদ অভিযোগের নিষ্পত্তি হবে সংস্থাটির কেউ তা বলতে পারেননি।
জানা গেছে, অভিযুক্ত সংযুক্তা সাহা বর্তমানে তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে বিচার পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আঁখির পরিবার। আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী আমার দেশকে বলেন, ‘বিএমডিসিতে অভিযোগ দেওয়ার বহু সময় হলো। নতুন করে কমিটি গঠন করায় আবারও ডেকেছিল। আদৌ বিচার পাব কি না দুশ্চিন্তা তো আছেই। কী হবে কিছুই জানি না।’
জুলাই বিপ্লবের পর গতি বেড়েছে বিএমডিসির
বিএমডিসির একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুলাই বিপ্লবের আগে অভিযোগ এলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন ও বিএমডিসির শৃঙ্খলা কমিটির একাধিক সদস্যের যোগযোগশে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাঝপথেই সমঝোতা করতে বাধ্য হতেন ভুক্তভোগীরা। এমনকি ভয়ভীতিও দেখানো হতো ভুক্তভোগীদের। আর এতে করে তদন্তে দীর্ঘসূত্রতা লেগে যায়। মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদের মাধ্যমে অন্তত ২০টি অভিযোগ মাঝপথে থেমে গেছে বলে জানান একজন কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আমার দেশকে বলেন, ‘৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২৪ অক্টোবর বিএমডিসি পুনর্গঠিত হয়। কাউন্সিলের সভায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ভুক্তভোগীদের কথা মাথায় রেখে নিষ্পত্তির সময় কমাতে সর্বোচ্চ জোর দেন। এরপর থেকে অভিযোগ পেলেই সেটি তথ্য যাচাই-বাছাই করে আমলযোগ্য হলেই দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। সম্প্রতি যে ১৩ জনের নিবন্ধন স্থগিত করা হয়েছে, সেগুলোর কয়েকটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলেছিল। গতি বাড়ায় এখন দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে।’
প্রতিকার পাওয়ায় অভিযোগ বাড়ছে
মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিকার পাওয়ায় অবহেলাজনিত ঘটনার অভিযোগ দিনদিন বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিএমডিসির ভারপ্র্যাপ্ত রেজিস্ট্রার লিয়াকত হোসেন। তার মতে, ২০ বছর আগে চিকিৎসায় অবহেলায় মারা গেলে কিংবা অপচিকিৎসার শিকার হলে প্রতিকার পাওয়ার কোনো জায়গা ছিল না। ২০১০ সালে ‘অ্যাক্ট’ পাসের পর কাঠামোগতভাবে কাজ করার সুযোগ পায় বিএমডিসি। এরপর সংখ্যায় কম হলেও ব্যবস্থা নেওয়ায় মানুষ প্রতিকার পেতে আবেদন করতে থাকে।
লিয়াকত হোসেন আমার দেশকে বলেন, ‘পনের বছর আগের চেয়ে বর্তমান বিএমডিসির মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা জনবল, সীমিত সংখ্যক লোকবল দিয়ে কাজ করতে হয়। ফলে একটা বিচার শুরু করলে নতুন তিনটা অভিযোগ জমা পড়ে। তারপরও আইনের কাঠামোতে থেকে কাজ করা হচ্ছে।’
অস্থায়ীভাবে নিবন্ধন স্থগিত প্র্যাণহানির মতো ঘটনার শাস্তি যথোপযুক্ত কি নাÑএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘একজন চিকিৎসককে শাস্তি দিতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ আইনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কারণ কোনো চিকিৎসকের নিবন্ধন স্থগিত হলে তার পেশাগত মৃত্যু হয়। ছয় মাস কিংবা পাঁচ বছর, যে মেয়াদেই হোক, নিবন্ধন স্থগিত করেন না কেন, এটির বোঝা তাকে সারাজীবন বইতে হয়।’
ডা. স্বপ্নীলের চিকিৎসায় গাফিলতির উদাহরণ টেনে লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘ডা. স্বপ্নীল একদিনে ৬২টি এন্ডোস্কপি করেছেন, ফলে সেখানে অবহেলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা চিকিৎসকরা এমন পর্যায়ে চলে যাই, যেখানে প্র্যাকটিস আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। অথচ নিয়মনীতিতে প্র্যাকটিস সময় থাকা উচিত। কিন্তু শহর থেকে গ্রামেÑসবখানেই চিকিৎসায় অবহেলার প্রবণতা বেড়েছে।’ তিনি আরো বলেন, চিকিৎসকদের দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি চিকিৎসক ও রোগীর সম্পর্ক ভালো হওয়া জরুরি।’
তৎপরতা জোরদার করতে হবে বিএমডিসির
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আব্দুস সবুর আমার দেশকে বলেন, ‘যেসব অভিযোগের সত্যতা পেয়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছে সেগুলো জুলাই অভ্যুত্থানের অনেক আগের। শাস্তি পাওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে এমনও চিকিৎসক আছেন, যিনি কি না আগে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরতেন। তার মতো অতিই শক্তিশালীরা পটপরিবর্তনের পর অ্যাকশনের মুখোমুখি হচ্ছেন। অভ্যুত্থানে আগে যা হয়নি।’
অধ্যাপক আব্দুস সবুর বলেন, ‘চব্বিশের আগের চেয়ে বর্তমানে বিএমডিসির গতি তুলনামূলক অনেকটা বেড়েছে। সংস্থাটিকে এক সময় নখদন্তহীন সিংহ বলে মন্তব্য করা হতো, এখন সত্যিই সত্যিই বিএমডিসি সিংহের পরিচয় দিচ্ছে।’
চিকিৎসায় অবহেলার ঘটনা বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘চিকিৎসকরা নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করা শুরু করেছেন, তাদের যা ইচ্ছে তা করার অধিকার আছে বলে মনে করেন। তারা জবাবদিহির ভেতরে এলে নিজেদের শোধরানোর চেষ্টা করবে। শাস্তির এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা আরো কমে আসবে। এজন্য বিএমডিসির তৎপরতা আরো জোরদার করতে হবে।’