
ভাগাভাগিতে হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (রুয়া) নির্বাচন। এদিকে আওয়ামী লীগপন্থিদের ভাগে ৬টি পদ দেওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বলছে, কয়েকদিনের মিটিংয়ে দরকষাকষির পর এখন পর্যন্ত সভাপতিসহ বিএনপিপন্থিদের ভাগে রয়েছে ১৭টি পদ। কোষাধ্যক্ষসহ একই সংখ্যক পদ পেতে পারেন জামায়াতপন্থিরা। অন্যদিকে জাসদ-মৈত্রী ভাগে পেতে পারেন সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১১টি পদ। এত সব ভাগাভাগির মাঝেও বাদ পড়েনি পতিত আওয়ামীপন্থিদের নাম। সহসভাপতি-সহ মোট ৬টি পদের বিষয়ে সমঝোতার কথা শোনা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বিএনপিপন্থি সাবেক শিক্ষক প্রফেসর ড. এম. রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত কোন দল কতটি পদ পাবে সেটা নিশ্চিত হয়নি। একটা খসড়া আলাপ হয়েছে। আগামী আলোচনাতে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
জামাতপন্থি শিক্ষক প্রফেসর ড. নিজাম উদ্দিন বলেন, আমাদের কোষাধ্যক্ষসহ ১৭টি পদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো এ বিষয়ে কোনো কথা বলিনি। আমরা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক-সহ কয়েকটি পদ চেয়েছি। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।
আওয়ামীপন্থিদের ভাগ দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, আলোচনায় আওয়ামীপন্থি সাবেক উপ-উপাচার্যের নেতৃত্বে ৬টি পদ দেওয়ার বিষয়ে কথা উঠেছে। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত কিছু হয়নি। তবে তাদের ভাগ দেওয়া হলে কিংবা আমাদের দাবি মানা না হলে কী সিদ্ধান্ত নেব আমরা তা পরে বলতে পারব।
এ বিষয়ে জাসদ-মৈত্রীর পক্ষ থেকে আইয়ুব আলী খান সমঝোতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের ১১টি পদ দিতে চাইলেও আমরা আরো বেশি পদ চেয়েছি। এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত সংখ্যা নির্ধারিত হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামীপন্থি এক শিক্ষক বলেন, আমরা দল-মত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে ভাগ করতে চাই না। এগুলো ভালো কালচার নয়। দেশে মবের জন্য থাকা যাচ্ছে না। রুয়া একটি অরাজনৈতিক প্ল্যাটফরম, আমরা নির্বাচনে অংশ নেব দল হিসেবে না; যে কেউ থাকতে পারে আমাদের মধ্যে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. একরামুল হামিদ বলেন, সকলের অংশীদারত্ব নিশ্চিতে দলগুলো পরস্পর আলোচনা করিতেছে। তবে ভাগাভাগি বা সমঝোতার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
নির্বাচন কমিশন পুরোদমে প্রস্তুত জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. এফ. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা নির্বাচনের জন্য পুরোদমে প্রস্তুত। ভোটাররা আসবে ভোট দেবে; আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের ব্যবস্থা করব। এর বাইরের কোনো বিষয় নিয়ে আমরা জানিও না, ভাবছিও না।