
বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আগামীকাল বুধবার বৈঠক হওয়ার কথা। সেখান থেকে ভালো কিছু আশা করছে বাংলাদেশ পক্ষ।
ওই বৈঠকে অংশ নিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। সঙ্গে আছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও।
আজ মঙ্গলবার দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন শুল্ক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকে ভালো কিছু আশা করছেন তারা।
এদিকে মার্কিন সরকারের শুল্ক সংক্রান্ত চিঠি পাওয়ার কথা নিম্চিত করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজ এক ফেসবুক পোস্টে জানান, শুল্ক নিয়ে আলোচনা এখনো চলমান। ৯ জুলাই আরেক দফা আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
ঢাকা ওয়াশিংটন ডিসির সঙ্গে একটি শুল্ক চুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে, যা উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে বলে আশা করেন প্রেস সচিব।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মর্তোজা সমাজমাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘৩৫ শতাংশ শুল্ক চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আলোচনা চলমান। ৯ জুলাই পরবর্তী আলোচনার তারিখ। ভালো কিছুর জন্য বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এবং সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়নি।’
৯০ দিনের শুল্কবিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্কহার নির্ধারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছেন।
সোমবার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ ঘোষণা দেন এবং একটি তালিকা প্রকাশ করেন।
এর আগে ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল।
জানা গেছে, ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের চিঠির পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুক্তির জন্য একটি নতুন নথি পাঠিয়েছে। এই চিঠি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও দেওয়া হয়েছে।
নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিলেও আলোচনার দরজাও খোলা রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আগামী ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা। তবে সুযোগ রয়েছে দর কষাকষির ।
ঢাকাটাইমস