
পবিত্র ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসছে। কোরবানির পশু কেনার প্রস্তুতির পাশাপাশি জমে উঠেছে দা, ছুরি, চাকু ও বটি তৈরির ব্যস্ততা। ময়মনসিংহ জেলার ১৩টি উপজেলাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কামারপল্লিগুলোতে তাই বইছে কর্মচাঞ্চল্য।
কয়লার স্তুপের পাশে আফুরে জ্বলছে গনগনে আগুন। হাতিনার হাতলের শিকলের টানে তপ্ত হচ্ছে লোহা, আর হাম্বল ও হাতুড়ির ছন্দময় আঘাতে তৈরি হচ্ছে কোরবানির অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি। কামাররা নিপুণ হাতে গড়ছেন দা, ছুরি, চাকু ও বটি। ঈদের আগে এই মৌসুমটাই তাদের বছরের সবচেয়ে কর্মব্যস্ত সময়।
ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কুশমাইল কামারপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে লোহা পোড়ার গন্ধ। হাম্বল-হাতুড়ির শব্দ আর কয়লার আগুনে লাল হয়ে ওঠা লোহা যেন ঈদের প্রস্তুতির জানান দিচ্ছে। কামারপল্লির প্রতিটি কোণে কাজের ব্যস্ততা চোখে পড়ে।
স্থানীয় কামার শিল্পী শ্রী শান্তি চন্দ্র কর্মকার বলেন, “গ্রামে এবার ঈদের আমেজ কিছুটা কম মনে হচ্ছে। কোরবানির পশু কম কিনছে মানুষ। তাই কাজও তুলনামূলক কম। তবে কিছু অর্ডার আসছে, পুরোনো যন্ত্রপাতি শান দেয়ার কাজ বেশি হচ্ছে।”
তবে উপজেলা সদরসহ আশপাশের এলাকাগুলোর কামাররা জানালেন, এবার ঈদেও আগের মতোই কাজ পাচ্ছেন। তারা বলছেন, দা-বটির পাশাপাশি ছুরি ধার করার চাহিদাও বেশ।
কামারপল্লিতে আসা গোলাম হোসেন বলেন, “কোরবানির পরে চামড়া ছাড়াতে কামারদের তৈরি ছুরি-বটির বিকল্প নেই। অনেকেই শুধু ধার দিতে আসছেন। সারা বছর কাজ কম হলেও দুই ঈদের মৌসুমে কামারদের হাতে কাজের চাপ থাকে অনেক।”