Image description
 
ডাবল মিনিং থাকা শব্দ বা নামকে বিভ্রান্তিকরভাবে ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার নাম সাংবাদিকতা না, ইতরামিকতা হতে পারে।
 
শিরোনাম দিয়েছে, "শিরোনামে জামায়াতের বিরুদ্ধে মিছিলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা!"
 
১ শতাংশ মানুষও হয়তো জানে না যে, 'বাংলাদেশ ছাত্র লীগ' নামে দেশে একাধিক সংগঠন আছে। এর মধ্যে একটা আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ আরেকটা জাসদের ছাত্রলীগ। আরও আছে।
 
ফলে, এই তথ্য না জানা মানুষ স্বাভাবিকভাবেই ধরে নিচ্ছে বামপন্থী সংগঠনগুলোর জামাতবিরোধী মিছিলে এই নেতাটি আওয়ামী ছাত্রলীগের নেতা। এবং ভুলভাবে খিস্তি করছে ওই মিছিল আয়োজনকারী বামপন্থী নেতাকর্মীদেরকে।
 
ভিডিওটি শুনলাম। অর্ধেকটা সময় ধরে 'ছাত্রলীগ নেতা ছাত্রলীগ নেতা' বলে শেষের দিকে বললো যে, 'এই ছাত্রলীগ সেই ছাত্রলীগ না'! আবার ওই ছেলেটির ছবি অপরাধীর মতো লাল চিহ্ন দিয়ে আলাদা করেছে।
 
অথচ, ওই ছেলেটি বামপন্থী সংগঠনের নেতা, ফলে তার ওই মিছিলে থাকা অস্বাভাবিক কিছু না (কারণ মিছিল করা সংগঠনগুলো বামপন্থী)। অথচ এইটারে অস্বাভাবিক বানিয়ে তাতে নিউজ ইলিমেন্ট বের করেছে!
 
যারা পুরো ভিডিও শুনবেন না, বা জাস্ট শিরোনাম দেখে শেষ করবেন তারা জানবেন যে, বামপন্থীরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকে সাথে নিয়ে জামাতের বিরুদ্ধে মিছিল করেছে।
 
এইটা ডিসইনফরমেশনের মধ্যেই পড়ে।