
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের খসড়া ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাজেটের মূল লক্ষ্য রাজস্ব আদায় বাড়িয়ে ঘাটতি কমানো এবং আইএমএফের শর্ত পূরণ করা। প্রস্তাবিত বাজেটে কর বাড়ানোর একগুচ্ছ প্রস্তাব এবং ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহারের কারণে দেশের সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ী মহলের ওপর চাপ বাড়তে চলেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এই পদক্ষেপ রাজস্ব আদায় বাড়াতে নেওয়া হলেও এতে শিল্প খাত ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। এমনিতেই দীর্ঘ দুই বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ১০ মাস মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের ওপরে। বর্তমানে তা ৯ শতাংশে নামলেও তাতেও স্বস্তি নেই। সীমিত আয়ের মানুষ এখনও ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক আশঙ্কা করছে, চলমান খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে ২০২৫ সালে আরও ৩০ লাখ মানুষ অতিদারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে পারে। এই বাস্তবতায় আগামী সোমবার (২ জুন) নতুন বাজেট উপস্থাপন করবেন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমানে উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে নতুন করে শুল্ক বাড়ানো হলে বাজারে পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে। এর ফলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়বে।
বাজেট প্রস্তাবে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যা সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে প্রভাব ফেলবে। উদাহরণস্বরূপ, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এলইডি বাতির উপকরণে শুল্ক বাড়ানোর ফলে এই পণ্যের দাম বাড়তে পারে— যার কারণে ঘর আলোকিত করতেই এখন গুনতে হবে বাড়তি টাকা।
নতুন বাজেটে পণ্যের কাস্টমস শুল্ক ও কর বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় সরাসরি প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্য থেকে শুরু করে নির্মাণ উপকরণ, শিশুখেলনা, যানবাহন ও কৃষিজ সামগ্রীর ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ফলে বাড়তি ব্যয়ের চাপ পড়বে ভোক্তাদের কাঁধে।
ঘরের চারপাশ আলোকিত করতে চাইলে এবার গুনতে হবে অতিরিক্ত টাকা। কারণ বাতি তৈরির উপকরণে ১০ শতাংশ বাড়তি কাস্টমস শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। শিশুর হাতে একটি খেলনা তুলে দেওয়ার আগেও পকেট থেকে বের করতে হবে অতিরিক্ত অর্থ— খেলনার আমদানিতে ন্যূনতম মূল্য হিসাবে প্রতি কেজিতে ০.৫০ ডলার বাড়ানো হয়েছে।
মশা, মাছি ও তেলাপোকার যন্ত্রণায় নাকাল মানুষকে এবার কীটনাশকের জন্যও বাড়তি খরচ করতে হবে। এই ধরনের পণ্য আমদানিতে কাস্টমস শুল্ক ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগতে যাচ্ছে নির্মাণ খাতে। সিমেন্ট, রড, বার, অ্যাঙ্গেল, টাইলস, স্ক্রু, নাট, বোল্টসহ নির্মাণসামগ্রীর দাম অনেকটাই বাড়তে পারে। সিমেন্ট তৈরির মূল কাঁচামাল ক্লিংকারে আগে নির্ধারিত মূল্যে (৭০০ থেকে ৯৫০ টাকা প্রতি মেট্রিক টন) শুল্ক নির্ধারিত ছিল। এবার বাজারমূল্যে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ হারে কাস্টমস শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ডলারের দাম বাড়া এবং বাজারে অস্থিরতার কারণে সিমেন্ট ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে।
রড, বার ও অ্যাঙ্গল তৈরির কাঁচামালের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক বসানো হচ্ছে। একইভাবে স্ক্রু, নাট ও বোল্টের করভার প্রায় তিনগুণ বেড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে দাঁড়াতে যাচ্ছে ৮৯.৩২ শতাংশে।
টাইলস এবং নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত মার্বেল ও গ্রানাইট বোল্ডারে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে এসব পণ্যের মোট করভার ৮৯.৩২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ১২৭.৭২ শতাংশে।
‘স্থানীয় শিল্প রক্ষার’ যুক্তিতে জিপসাম বোর্ড ও শিট আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক দ্বিগুণ করে ২০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
ঢাকা শহরের অন্যতম জনপ্রিয় পরিবহন ব্যাটারিচালিত রিকশার দামও বাড়তে পারে। কারণ, এই রিকশায় ব্যবহৃত ১২০০ ওয়াট ডিসি মোটরের কাস্টমস শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
তামাকবীজ আমদানিতে আগে কোনও শুল্ক ছিল না— এবার তা ২৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব এসেছে। একইভাবে সয়াবিন মিলের ওপর শূন্য থেকে ৫ শতাংশ কাস্টমস শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে— যা প্রভাব ফেলবে পোলট্রি ও কৃষি খাতে।
বাজেট প্রস্তাবে উড়োজাহাজের কাস্টমস শুল্ক শূন্য থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ এবং হেলিকপ্টারে মোট করভার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে বাজেটের প্রস্তাবিত শুল্ক পরিবর্তনগুলো ভোক্তাপর্যায়ে ব্যয়বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যেতে পারে উল্লেখযোগ্য হারে।
ভ্যাট সুবিধা প্রত্যাহারে ঝুঁকিতে শিল্প
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে বাজেটে স্থানীয় শিল্পের জন্য বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা অনেক ক্ষেত্রেই প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এর ফলে ইলেকট্রনিক্স, গৃহস্থালী সামগ্রী, প্লাস্টিক, মোবাইল ফোনসহ বহু শিল্প খাতে উৎপাদন খরচ বাড়বে এবং দেশীয় পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমবে।
বিশেষত, স্থানীয় টেক্সটাইল খাতে প্রতি কেজি কটন সুতা ও ম্যান-মেইড ফাইবার সুতার সুনির্দিষ্ট কর (ভ্যাট) ৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে বাংলাদেশি মিলগুলো।
গৃহস্থালির খরচ বাড়বে
রেফ্রিজারেটর, রাইস কুকার, ওয়াশিং মেশিন, ব্লেন্ডার, ইলেকট্রিক কেটলি ও আয়রনসহ বিভিন্ন গৃহস্থালির পণ্যে ধাপে ধাপে ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে— ২০২৭ পর্যন্ত ৫ শতাংশ, ২০২৯ পর্যন্ত ৭.৫ শতাংশ ও ২০৩০ পর্যন্ত ১০ শতাংশ।
টার্নওভার কর ও উৎসে কর দ্বিগুণ
টার্নওভার করের হার দ্বিগুণ করার প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে, যদিও সীমা বাড়ানো হচ্ছে এক কোটি টাকা থেকে চার কোটি টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, লাভ-লোকসান না দেখেই এই কর আরোপ করা হলে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
লাভ-লোকসান বিবেচনা না করে সব প্রতিষ্ঠানের ওপর এই কর বসানোয় ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
স্থাপনা ভাড়া ও অনুষ্ঠান আয়োজনে বাড়ছে উৎসে কর
স্থাপনা ভাড়া ও কনভেনশন হলের ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। ফলে সভা, সেমিনার আয়োজনসহ ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে। এছাড়া স্থাপনা ভাড়া সাধারণত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বহন করে, যা তাদের ব্যয়ের চাপ আরও বাড়াবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে উদ্যোক্তাদের খরচ আরও বাড়বে।
৩১টি শিল্পের কর অবকাশ সুবিধা বাতিল হচ্ছে
বর্তমানে ৩১টি শিল্প খাত অঞ্চলভেদে ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা পাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে— ফার্মাসিউটিক্যালস, কৃষি যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিক্স, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, টায়ার ম্যানুফেকচারিং, অটোমোবাইল পার্টস, রোবোটিক্স, এআই ও ন্যানোটেকনোলজি। আইএমএফ-এর প্রস্তাবে সরকার এবার শিল্প খাতে দীর্ঘদিন ধরে চালু থাকা কর অবকাশ সুবিধা বাতিলের পথে হাঁটছে। শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, এই সুবিধা বাতিল হলে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে এবং অনেক কারখানা সম্প্রসারণ পরিকল্পনা থেকে সরে আসবে। এতে কর্মসংস্থানে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আইটি খাত আয়করের আওতায়
আগে যেসব আইটি সেবা ও ফ্রিল্যান্সিং আয় করমুক্ত ছিল, এবার বাজেটে সেগুলোকে করজালের আওতায় আনা হচ্ছে। এর আওতায় থাকবে— সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ্লিকেশন কাস্টমাইজেশন, ওয়েব/ডেটা/সাইবার সার্ভিস, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ডিজিটাল আর্কাইভিং, রোবোটিক্স প্রসেস আউটসোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিং আয়।
আইটি উদ্যোক্তারা বলছেন, এই খাতে কর আরোপের ফলে দেশের নবীন উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সারদের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে।
ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সে বাড়ছে ভ্যাট
রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার, ইলেকট্রিক কেটলি, আয়রনসহ নানা গৃহস্থালিসামগ্রী উৎপাদনে ভ্যাট সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুনভাবে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত ৫ শতাংশ, ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত সাড়ে ৭ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের জুন পর্যন্ত ১০ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব রয়েছে। ফলে এসব পণ্যের উৎপাদন খরচ ও বাজার মূল্য বাড়বে।
ভ্যাট অব্যাহতি বাতিল: উৎপাদন খরচে চাপ
বাজেটে দেশীয় শিল্পকে দেওয়া বহুদিনের ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বাতিল করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে বাড়বে— ইলেকট্রনিক্স, গৃহস্থালী পণ্য,প্লাস্টিক, মোবাইল ফোন ও টেক্সটাইল খাতে উৎপাদন খরচ। বিশেষ করে টেক্সটাইল শিল্পে প্রতি কেজি কটন ও ম্যান-মেইড সুতা উৎপাদনে নির্দিষ্ট কর ৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ টাকা করা হচ্ছে। ফলে ভারতীয় সুতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে স্থানীয় মিলগুলো।
ব্যক্তি আয়ের কর কাঠামোতে পরিবর্তন
নতুন বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হচ্ছে। তবে একইসঙ্গে উচ্চবিত্তদের ওপর করের চাপ বাড়ছে। আগে যেখানে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হতো ৩৮.৫০ লাখ টাকা বার্ষিক আয়ের ওপরে, এখন তা কমিয়ে ৩৫.৭৫ লাখ টাকা করা হচ্ছে। ফলে উচ্চ আয়ের করদাতাদের করভার বাড়বে।
আমদানি নির্ভর কাঁচামালে শুল্ক ও ভ্যাট বৃদ্ধি
স্টিল শিল্পের কাঁচামাল ফেরো ম্যাঙ্গানিজ, ফেরো সিলিকা ম্যাঙ্গানিজ ও ফেরো সিলিকন অ্যালয়ে ভ্যাট যথাক্রমে ১,২০০ টাকা এবং ১,৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সিমেন্ট শিট উৎপাদনে ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব রয়েছে। এর প্রভাব নির্মাণ খাতেও পড়বে।
অনলাইন বেচাকেনা ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নতুন কর
বর্তমানে অনলাইনে পণ্য বিক্রির ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ থাকলেও সেটি বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব আনা হয়েছে। এর ফলে ই-কমার্সে কেনাকাটা করা ভোক্তাদের ওপর খরচ বেড়ে যাবে।
একইভাবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে জনপ্রিয় সিরিজ, সিনেমা ও খেলার সম্প্রচারেও সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এতে সাধারণ বিনোদনপ্রেমী সাধারণ দর্শকের বিনোদনের খরচ বাড়বে।
সরাসরি জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ছে
সাধারণ মানুষের জন্য বাজেটে বড় ধাক্কা হতে যাচ্ছে ভ্যাট বৃদ্ধি ও কর কাঠামোর রদবদল। এই বাজেটের প্রভাবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্লাস্টিকের তৈরি টেবিলওয়্যার, কিচেনওয়্যার, হাইজেনিক সামগ্রী এবং টয়লেটসামগ্রীর ভ্যাট সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হলেও করহার বৃদ্ধির কারণে সব শ্রেণির করদাতার ওপর করের চাপ বাড়বে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে ভ্যাট সুবিধা প্রত্যাহার ও কর বৃদ্ধির যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তা ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় বাড়ানোর পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তাদের জীবনযাত্রাকেও ব্যয়বহুল করে তুলবে। বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন— কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি শিল্প ও ভোক্তা সুরক্ষার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া জরুরি।