Image description

টানা কয়েক দিনের তাপপ্রবাহ ও গরম থেকে অবশেষে স্বস্তি নিয়ে এলো বৃষ্টি। দেশের বেশির ভাগ অঞ্চল থেকে গতকাল সোমবার তাপপ্রবাহ বিদায় নিয়েছে। এক দিনের ব্যবধানে রাজধানীতে তাপমাত্রা কমেছে সাড়ে ৮ ডিগ্রি। তবে খুলনা বিভাগ ও আরো তিনটি জেলায় বৃষ্টি না হওয়ায় এসব অঞ্চলে সোমবারও তাপপ্রবাহ ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মঙ্গলবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে এসব এলাকা থেকেও কমতে পারে তাপপ্রবাহ। বৃষ্টির সঙ্গে আগামী কিছুদিন বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে তাপপ্রবাহ ও গরম অনেকটাই কমেছে। এমন পরিস্থিতি আগামী অন্তত ২১ মে পর্যন্ত থাকতে পারে। এ সময় দেশে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত থাকতে পারে। এতে তাপমাত্রাও সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।’

গত কয়েক দিনের তুলনায় গতকাল দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও তাপপ্রবাহের বিস্তৃতি অনেকটাই কমেছে। শনিবার দেশের ৬২ ও রবিবার ৫৬ জেলায় তাপপ্রবাহ ছিল। তবে গতকাল বৃষ্টির কারণে দেশের অধিকাংশ অঞ্চল থেকেই বিদায় নিয়েছে তাপপ্রবাহ। 

বৃষ্টি না থাকায় খুলনা বিভাগ (১০ জেলা) এবং গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালী ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি) থেকে মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি) তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। সব মিলিয়ে দেশের মোট ১৩ জেলায় তাপপ্রবাহ ছিল। মঙ্গলবার এই তাপপ্রবাহের এলাকা আরো কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এক দিনের ব্যবধানে রাজধানীতে সাড়ে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমেছে। কমেছে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৪১.৮ ডিগ্রি। তবে এক দিনের ব্যবধানে দক্ষিণ-পশ্চিমের এই জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮.৮ ডিগ্রি। 

তাপমাত্রার বড় পতন দেখা গেছে রাজধানীতে। রবিবার রাতেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়। সোমবারও রাজধানীর কোনো এলাকায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে এক দিনের ব্যবধানে এখানে তাপমাত্রা কমেছে ৮.৬ ডিগ্রি। গতকাল এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩১.৩ ডিগ্রি।

দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৫১টি পর্যবেক্ষণাগারের মধ্যে ২৬টিতেই সোমবার বৃষ্টির রেকর্ড পাওয়া গেছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলীতে। এ ছাড়া নেত্রকোনায় ৬৩ মিলিমিটার, সিলেটে ৪০ মিলিমিটার ও পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কম-বেশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হলেও বৃষ্টিহীন ছিল খুলনা বিভাগ। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগেও বৃষ্টি তুলনামূলক কম ছিল।