
অভিজ্ঞতা ছাপিয়ে তারুণ্যের জয়গান শোনা গেলো মিউনিখের অ্যালিয়েঞ্জ এরেনায়। অভিজ্ঞ ইন্টার মিলানকে নিয়ে ছেলেখেলা করলো প্যারিস সেন্ট জার্মেই। পাঁচ বছর আগে যে স্বপ্ন ভেঙে খানখান হয়েছিল, তা এবার রূপ নিলো বাস্তবে। পিএসজি হলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন। তিনবারের ইউরোপ জয়ী ইন্টারকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবার এই শিরোপা জিতলো তারা।
১২ মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে দেন হাকিমি। ভিতিনহার পাসে বক্সের মধ্যে থেকে দুয়ের বাড়ানো বলে ফাঁকা পোস্ট দিয়ে জাল কাঁপান তিনি।
প্রথম গোলে অ্যাসিস্টের পর দুয়ে করেন দ্বিতীয় গোল। ২০ মিনিটে বাঁ দিক থেকে দেম্বেলের ক্রসে ডান পায়ের শট নেন তিনি। দিমাক্রোর গায়ে লেগে ইয়ান সমারকে দিগভ্রান্ত করে জারে জড়ায় বল। তিন মিনিট পর আকেরবির হেড গোলবারের উপর দিয়ে গিয়ে হতাশ করে ইন্টারকে।
ইন্টারের মনোবলে চিড় ধরিয়ে পিএসজি একের পর এক আক্রমণ করে গেছে। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ফ্যাবিয়ান রুইজের বাঁ পায়ের শট সরাসরি সমারের হাতে জমা পড়ে।
৩৮ মিনিটে কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ব্যাকপোস্টে লাফিয়ে হেড করেছিলেন থুরাম। বল পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ৪৪ মিনিটে আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। দুয়ের পাসে ব্যাকপোস্ট থেকে দেম্বেলের শট ব্যর্থ হয়। পরের মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দুয়ের শট বাঁ পোস্ট ঘেষে বেরিয়ে যায়।
২-০ গোলে এগিয়ে থেকে হাফটাইমে যায় পিএসজি। প্রথমার্ধে তাদের নেওয়া ১৩টি শটের পাঁচটি চিল লক্ষ্যে। আর ইন্টার কেবল দুইবার শট নিয়েছিল, একটাও পারেনি কিপারের পরীক্ষা নিতে।
বিরতির পর শুরুতেই কভারাতখেলিয়ার শট কাছের পোস্ট ঘেষে মাঠের বাইরে যায়।
৫২ মিনিটে কভারাতখেলিয়া ইন্টার ডিফেন্ডারের চাপের মুখে গোলবারের উপর দিয়ে শট নেন। কয়েক মুহূর্ত পর দেম্বেলের ডানপায়ের শট গোলবারের পাশ দিয়ে যায়।
এক ঘণ্টা পার হওয়ার কিছুক্ষণ পর তৃতীয় গোলের দেখা পায় পিএসজি। ৬৩ মিনিটে দেম্বেলের বাড়ানো বল নিয়ে ভিতিনহা দৌড়ে দুয়ের কাছে পাঠান। ঠাণ্ডা মাথায় নিজের দ্বিতীয় গোল করেন এই তরুণ।
৭৩ মিনিটে দেম্বেলের পাস ধরে অফসাইড ফাঁদ এড়িয়ে কভারাতখেলিয়া সমারকে ফাঁকি দিয়ে জাল কাঁপান। ম্যাচ ইন্টারের নাগালের বাইরে নিয়েও গোলের ক্ষুধা কমেনি পিসেজির। ৮৭ মিনিটে বারকোলার সঙ্গে ওয়ান-টু পাসে বল টেনে নিয়ে সমারের পাশ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন বদলি নামা মায়ুলু।