
ত্বকের নিচে ক্ষুদ্র মাইট বা পরজীবীর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া চর্মরোগ ‘স্ক্যাবিস’ হোস্টেল, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও ডে-কেয়ার সেন্টারগুলোর মতো ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে বেশি দেখা যাচ্ছে।
এই রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে ত্বক ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সালমা আক্তার বলেন, “স্ক্যাবিস একটি আণুবীক্ষণিক মাইট দ্বারা সৃষ্ট। এটি আমাদের ত্বকের নিচে ছোট গর্ত তৈরি করে সেখানে ডিম পাড়ে। ফলে ত্বকে তীব্র চুলকানি, লাল ফুসকুড়ি ও চামড়ায় র্যাশের মতো উপসর্গ দেখা দেয়।”
তিনি আরও জানান, “একজন আক্রান্ত হলে তা থেকে সহজেই অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এজন্য প্রয়োজন সম্মিলিত চিকিৎসা। আমরা সবসময় বলি, পরিবারের বা একই স্থানে থাকা সকলকে একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে হবে। কিন্তু অনেকেই সেটি মানেন না, ফলে রোগটি বারবার ফিরে আসে।”
চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, “যে ওষুধগুলো নির্ধারিত সময় ও নিয়মে ব্যবহার করতে হবে, সেগুলো ঠিকভাবে ব্যবহার করলেই রোগ নিরাময় সম্ভব। এছাড়া চুলকানির জন্য অ্যান্টি-হিস্টামিন জাতীয় ওষুধও এক থেকে দেড় মাস খেতে হতে পারে।”
স্ক্যাবিস থেকে মুক্তি পেতে কিছু বাড়তি সতর্কতার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। যেমন:
-
প্রতিদিন ব্যবহৃত কাপড়, চাদর, পর্দা, তোয়ালে, গামছা ইত্যাদি গরম পানিতে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে
-
যতদিন উপসর্গ থাকবে, ততদিন ব্যবহার্য কাপড়চোপড় ইস্ত্রি করে পরতে হবে
-
বিছানা ও তোশক পরিষ্কার রাখতে হবে
শেষে ডা. সালমা বলেন, “এই নিয়মগুলো যথাযথভাবে পালন করলে স্ক্যাবিস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।”