Image description

ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নে জমি-জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জামাল উদ্দিন (৬০) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মঙ্গলবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে ভোলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রিয়াদ নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

 

নিহতের ছেলে লিটন জানান, ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইব্রাহীম ও আলম বেপারীর মধ্যে দির্ঘ দিন ধরে জমিজমার বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের আপস-মীমাংসা করে আর বাবা বাড়িতে চলে আসে। আপস-মীমাংসায় ইব্রাহীম রাজি না হওয়ায় বাবাকে আবার ফোন দিয়ে নিয়ে যান। ২০ মিনিট পরে আমরা শুনতে পাই বাবা রাস্তার পাশে পড়ে আছে।

 
 

তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি ইব্রাহীম, তার ছেলে নয়ন, শিপনের ছেলে শাকিল এবং ভেলুনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শহীদুল্লাহ হাওলাদারের ভাতিজা হানিফসহ বিশ জনের একটি গ্রুপ বাবাকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।

 

আহতদের মধ্যে প্রতিপক্ষের আলম ব্যাপারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় হাবিব জমাদারের ছেলে রিয়াদকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এ ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউনুস কমান্ডার জানান, আমি ঘটনা শুনে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে শুনি সালিশকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে মৃতের লাশ হাসপাতালে পাঠাই।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাত মোহাম্মদ হাসনাইন পারভেজ জানান, আমি ঘটনাস্থলেই আছি। জমি-জমার বিরোধ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছিল। নিহত বিএনপি নেতা সালিশদার ছিলেন। সংঘর্ষের সময় জামাল উদ্দিন নিহত হন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।