
খালিদ মহিউদ্দিন কিন্তু স্নিগ্ধাকে কোনদিন জিজ্ঞেস করবে না নারী ও পুরুষ সমান কিনা। কারণ স্নিগ্ধা প্রতিষ্ঠিত নৃবিজ্ঞানী নারীবাদী। এই সকল সিলি প্রশ্ন স্নিগ্ধাদের করা যায় না, কারণ স্নিগ্ধারা পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রগতিশীল, নারীরবাদের সনদপ্রাপ্ত।সামান্থা হিজাব পরে, সামান্থাদের একটা মেইনস্ট্রিম রাজনীতি সবেমাত্র শুরু করেছে, এ রাজনীতি শুরু করার আগেই সামান্থাদের দল জামাতের কোলে কোলে উঠে গেছে, হিজবুত তাহেরি হয়ে গেছে, এই দলটা পুরুষতান্ত্রিক আরো বহু তকমা জুটেছে, তার মধ্যে সামান্থা নিজে হিজাব পরে।
কাজেই সামান্থাদের কে দফাই দফায় টিভির সামনে যেয়ে বিভিন্ন আনডিগনিফাইড প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে প্রমাণ করতে হবে যে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রগতিশীল, তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে নারীবাদ বোঝে, তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে আরবান সেকুলারের রাজনীতিকে সাবস্ক্রাইব করতে জানে, করতে পারে আর নইলে সামান্থাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ শুন্য। মাঠে তাদের যতই কাজ করুক না কেন তাদেরকে প্রমাণ করা হবে তারা নারী বিরোধী তারা পুরুষতান্ত্রিক। এইটা না হলে তো বাংলাদেশের আরবান প্রগতিশীলদের রাজনীতি হয় না। আপনি মাঠে রাজনীতি করতে নামবেন কিন্তু আরবান প্রগতিশীলদ সনদ আপনার থাকবে না তাইলে আপনার কোন উজ্জ্বল রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নাই। মেয়ে হইলে তো আরো নাই।
নারী-পুরুষ সমান কিনা এই সমস্ত সিলি প্রশ্নের উত্তর কোনো প্রতিষ্ঠিত পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রগতিশীল নারীবাদীকে করা হবে না কারণ তাদের অলরেডি সনদ আছে। সামান্থা দিলশানা দোলা কিংবা তাসনুভা কে দফাই দফায় যে প্রমাণ করতে হবে যে তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে নারী প্রশ্নের স্মার্ট উত্তর দিতে পারছে কিনা, যতই তারা নারী অধিকার নিয়ে মাঠে থাকুক, আরবান প্রগতিশীদের সনদ ছাড়া এটা প্রমাণ হবে না যে এরা নারী অধিকার নিয়ে মাঠে কাজ করছে। ওই খালেদ মহিউদ্দিন রা একটা দুইটা প্রশ্ন করে তাৎক্ষণিক একটা উত্তর নিয়ে তারপর তার ক্লিপ ভাইরাল করে এটা প্রমাণ করতেই থাকবে করতেই থাকবে যে দোলা তাসনোভা কিংবা দিলশানা কিংবা সামান্থার দল পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রগতিশীল না বরং পুরুষতান্ত্রিক হয়ে গেছে!!!!
এন সিপির কাছে অনুরোধ থাকবে খালেদ মহিউদ্দিনের কোন প্রোগ্রামে কেউ যাবেন না। খালিদ মহিউদ্দিন এর প্রোগ্রাম এ যাওয়া আপনাদের জন্য বয়কট করা উচিত।
দিলশানা পারুল