Image description
 

অবশেষে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়া মারা গেছে। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকাবস্থায় তার মৃত্যু হয় ।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এদিকে শিশু আছিয়ার মৃত্যুর খবরে প্রতিবাদে সরব সব শ্রেণিপেশার মানুষ। সেই সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। এমনকি ঢালিউড ও ছোটপর্দার অভিনয়শিল্পীসহ পরিচালকরা প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। চাইছেন ধর্ষকের দ্রুত বিচার।

ঢালিউড অভিনেতা জায়েদ খান তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন— মারা গেছে আছিয়া। মহান আল্লাহ আছিয়াকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে রাখুক, আমিন। আমাদের ক্ষমা করো আছিয়া।  অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া কিছু বলতে পারেননি। হৃদয়ভাঙার ইমুজিসহ নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে শুধু লিখেছেন, ‘আছিয়া।’

 

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি লিখেছেন— এ শহরে আর কোনো কন্যার জন্ম না হোক। মাতৃহীন, ভগ্নিহীন, কন্যাহীন মরুভূমি হোক এ দেশ। কুলাঙ্গারের আবাদ হোক। অভিনেতা জোভান লিখেছেন— আমাদের মাফ করে দিও আছিয়া। আমরা তোমাকে বাঁচাতে পারলাম না।  ইরফান সাজ্জাদ সৃষ্টিকর্তার কাছে বিচার দিয়ে লিখেছেন— আল্লাহ আপনি বিচার কইরেন।

নায়িকা তমা মির্জা শিশুটির মৃত্যু সংবাদ শেয়ার দিয়ে লিখেছেন— শুনুন পশু ধরে রেখে দেয় না মেরে ফেলে। তাই আবর্জনা পরিষ্কার করে ফেলতে হয়। রেখে দিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে হয় না। দশ-বিশজন পশুরূপী অমানুষ না থাকলে আমাদের দেশের জনসংখ্যা কমবে না। ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে? হয় সাথে সাথে মারেন, না পারলে জনগণের কাছে ছেড়ে দেন, কিন্তু বাঁচিয়ে রাইখেন না। 

এদিকে শিশু আছিয়ার মৃত্যুর সংবাদটি সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে জানিয়েছে— অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ ২০২৫) দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ... রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) সর্বাধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে  (বৃহস্পতিবার) তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।

হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে দুই দফায় শিশুটির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। সিপিআর দেওয়ার পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। কিন্তু দুপুর ১২টায় তার আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এই দফায় সিপিআর দেওয়ার পরও তার হৃৎস্পন্দন আর ফিরে আসেনি। দুপুর ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।