সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যেই এবার দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ওপর সরাসরি সামরিক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভেনেজুয়েলার একটি ডকিং সুবিধা বা নৌ-বন্দরে এই হামলা চালানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার ফ্লোরিডার মার-আ-লাগো রিসোর্টে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ তথ্য জানান।
ট্রাম্প দাবি করেন, ভেনেজুয়েলার ওই বন্দরে একটি বিশাল বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেখানে মাদকবাহী নৌকাগুলো বোঝাই করা হতো। তিনি আরও জানান, মার্কিন বাহিনী এখন থেকে শুধু নৌকা নয় বরং যেখান থেকে এগুলো পরিচালিত হয় সেই মূল আস্তানাগুলোতেও আঘাত হানছে। তবে এই হামলা সুনির্দিষ্টভাবে কোথায় চালানো হয়েছে বা কারা এটি পরিচালনা করেছে, সে বিষয়ে ট্রাম্প বিস্তারিত কিছু বলেননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণা অঞ্চলটিতে যুদ্ধের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, এই অপারেশনটি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকতে পারে।
এদিকে ভেনেজুয়েলা সরকার এখন পর্যন্ত এই হামলার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে কারাকাস দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, মাদক পাচারের অভিযোগকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ওয়াশিংটন আসলে ভেনেজুয়েলায় সরকার পরিবর্তন এবং দেশটির বিশাল তেল সম্পদ দখল করতে চাইছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে ক্যারিবিয়ান এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভেনেজুয়েলার প্রায় ২৪টি নৌযানে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা, যাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন। তবে এসব অভিযানে মাদক পাচারের কোনো অকাট্য প্রমাণ এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি ওয়াশিংটন।
অন্যদিকে মার্কিন কংগ্রেসের ভেতরেও এই সম্ভাব্য যুদ্ধ নিয়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। ডেমোক্র্যাট এবং কিছু রিপাবলিকান প্রতিনিধি ভেনেজুয়েলায় সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনলেও তা কার্যকর করা যায়নি। ফলে নতুন যুদ্ধের শঙ্কা আরও বাড়ছে।