Image description
 

ইরানে সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র তৎপরতা ও সামরিক মহড়া ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, সোমবার ইরান একাধিক শহরে ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া চালিয়েছে, যা এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো এমন কার্যক্রম।

ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম ও আধা-সরকারি নূরনিউজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যদিও সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানানো হয়নি, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে যে তেহরান, ইসফাহান ও মাশহাদ থেকে উৎক্ষেপণগুলো করা হয়েছে। তবে রয়টার্স এসব ভিডিও স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।

অন্যদিকে, সোমবারই ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম “অবগত সূত্র” উদ্ধৃত করে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি অস্বীকার করে জানায়, প্রচারিত দৃশ্যগুলো আসলে “উচ্চ-উচ্চতার বিমান”-এর। পরস্পরবিরোধী এই দাবির বিষয়ে তেহরান থেকে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

এ প্রেক্ষাপটে এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শিগগিরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্রিফ করবেন। এতে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির যেকোনো সম্প্রসারণকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয় হুমকি হিসেবে তুলে ধরা হবে।

পশ্চিমা শক্তিগুলো ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় প্রচলিত সামরিক হুমকি হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে তারা আশঙ্কা করছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভবিষ্যতে পারমাণবিক অস্ত্র বহনের মাধ্যম হতে পারে। যদিও ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির উদ্দেশ্য বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

এনবিসি আরও জানিয়েছে, ইসরাইলি কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন যে জুনে যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলো পুনর্গঠনের কাজ আবার শুরু হয়েছে। এ কারণে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে নতুন করে হামলার বিকল্প নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে অবহিত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তেল আবিব।

এর আগে এই মাসের শুরুতে ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর নৌবাহিনী দুই দিনের একটি সামরিক মহড়া চালায়, যেখানে বিদেশি হুমকি মোকাবেলার অংশ হিসেবে সিমুলেটেড লক্ষ্যবস্তুতে ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।

এই সব ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসরাইলে ও ইরানের মধ্যে সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা আবারও জোরালোভাবে আলোচনায় এসেছে।