Image description

গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের সামরিক ও প্রশাসনিক কাঠামো পুনর্গঠনের বিষয়ে ইসরাইলি সেনা কর্মকর্তাদের স্বীকারোক্তি আবারো তেল আবিবের তথাকথিত ‘বিজয়’ দাবির সাথে মাঠের বাস্তবতার পার্থক্য স্পষ্ট করেছে। বাস্তবতা হলো হামাস দুর্বল তো হয়নিই। বরং তারা নিজেদের সক্ষমতা পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠনের পথে এগোচ্ছে।

গাজা উপত্যকার তথাকথিত ‘হলুদ রেখা’ এলাকায় মোতায়েন ইসরাইলি সেনারা মাঠে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কমে যাওয়া এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীর কৌশলগত চলাচল ক্ষমতা বাড়ার কথা জানিয়েছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর রিজার্ভ কর্মকর্তারা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, হামাস অবকাঠামো পুনর্গঠন, বিস্ফোরক স্থাপন এবং নিজেদের বাহিনী পুনরায় সংগঠিত করছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এক রিজার্ভ কর্মকর্তা দৈনিক ইয়েদিওত আহারোনোত-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন, হামাস সদস্যদের প্রকাশ্য তৎপরতার মুখেও বহুস্তরীয় অনুমতি ছাড়া ইসরাইলি বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। তার ভাষায়, অপারেশনাল সিদ্ধান্ত গ্রহণ তেল আবিবের চেয়ে বেশি নির্ভর করে ওয়াশিংটনের সবুজ সঙ্কেতের ওপর।

অন্যান্য কর্মকর্তারাও হলুদ রেখা-এর পশ্চিমাঞ্চলের পরিস্থিতি উল্লেখ করে জানান, সেখানে সেনাবাহিনীর কার্যকর নিয়ন্ত্রণ কার্যত নেই। বেসামরিক পোশাক বা সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহার করে হামাসের সদস্যরা অবাধে চলাচল করছে এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় সক্রিয় করছে। এদিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর উপস্থিতি মূলত এই রেখার পূর্বাংশেই সীমাবদ্ধ।

কয়েকজন ইহুদিবাদী সেনা ‘একটি রাজনৈতিক সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার’ কথাও উল্লেখ করে সতর্ক করেছেন, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী মাসগুলোতে সেনাবাহিনীকে আরো শক্তিশালী, সুসংগঠিত এবং নতুন আর্থিক সহায়তাসম্পন্ন এক হামাসের মুখোমুখি হতে হবে।

এই স্বীকারোক্তিগুলো এমন এক সময়ে সামনে এলো, যখন ইসরাইলি গণমাধ্যমও যুদ্ধবিরতির পর হামাসের প্রভাব ও শক্তি বৃদ্ধির কথা বলছে। বাস্তবতা ইঙ্গিত দিচ্ছে সরকারি দাবির বিপরীতে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন এখনো গাজা পরিস্থিতির একটি নির্ধারক খেলোয়াড় হিসেবে রয়ে গেছে।