ভারতের বিহারে সম্প্রতি চাকরির নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের হেনস্থার শিকার হয়েছেন এক হিজাব পরিহিত তরুণী। সদ্য চিকিৎসক হওয়া নুসরাত পারভীন হিজাব পরে অনুষ্ঠানে গেলে, নীতীশ কুমার টান দিয়ে তার হিজাব খুলে ফেলেন।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, নুসরাত সেদিন নিয়োগপত্র পেলেও এ ঘটনার পর তিনি আর চাকরিতে যোগদান করেননি। গতকাল শনিবার ছিল তার চাকরিতে যোগদানের শেষ দিন।
এরই মধ্যে বিহারে পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ড রাজ্য সরকার নুসরাতকে নতুন চাকরির প্রস্তাব দিয়েছে। মোটা অঙ্কের মাসিক বেতন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরফান আনসারি বলেছেন, বিহারের ওই মেয়েকে ৩ লক্ষ টাকা মাসিক বেতন, একটি পছন্দসই পদের চাকরি এবং একটি সরকারি ফ্ল্যাটের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি তাকে ঝাড়খণ্ডে আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং তাকে ৩ লাখ টাকা মাসিক বেতন, একটি ফ্ল্যাট, একটি পছন্দসই পদ এবং পূর্ণ নিরাপত্তাসহ একটি চাকরির প্রস্তাব দিয়েছি।'
তিনি আরও বলেন, 'যেভাবে একজন ডাক্তার- একজন নারীকে হিজাব টেনে অপমান করা হয়েছে এবং অশালীন আচরণ করা হয়েছে, তা কেবল একজন ব্যক্তির ওপর আক্রমণ নয় বরং মানবিক মর্যাদা, সম্মান এবং সংবিধানের ওপর সরাসরি আক্রমণ।'
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এই ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও তোলপাড় সৃষ্টি করে। এটি ভারতে একটি বড় ধরণের রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নীতীশ কুমার ওই তরুণী ডাক্তারের হিজাব খুলে ফেলার সময় বলছেন 'এটা কী!'