Image description
 

গাজার ১২ বছর বয়সী রাঘাদ আল-আসার বেঁচে থাকার গল্প সত্যিই বিস্ময়কর। গত বছর ইসরায়েলের হামলায় তার দুই বোন নিহত হয় এবং পরিবারের বাকিরা আহত হন। রাঘাদকেও মারা গেছে মনে করে মৃতদেহের সঙ্গে গাজার একটি মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার দেহ প্রায় আট ঘণ্টা হিমঘরে পড়ে থাকলেও, অচেতন অবস্থায় থাকা মেয়েটির আঙুল নড়ছিল। একজন ফিলিস্তিনি বাবা তার ছেলেকে খুঁজতে মর্গে আসার সময় এই অদ্ভুত ঘটনা খুঁজে পান।

 

রাঘাদ দুই সপ্তাহ কোমায় ছিলেন। জেগে ওঠার পর তার পরিবার জানায়, তাকে মর্গের রেফ্রিজারেটরে রাখা হয়েছিল। হামলার দিনটি সে কখনো ভুলতে চায় না। মেয়েটি আল-জাজিরাকে বলেছে, ‘আমি যুদ্ধবিমান ওড়া ও বোমার শব্দ শুনলে আতঙ্কিত হয়ে যাই। আমি সেদিনের কথা মনে করতে চাই না।’

রাঘাদের বড় বোনও গুরুতর আহত, এক চোখে দেখতে পাচ্ছেন না, শরীরের অনেক অংশ পুড়ে গেছে এবং গভীর ক্ষত রয়েছে। বাবা মোহাম্মদ জানিয়েছেন, রাঘাদ ঘটনার পর থেকে মানসিকভাবে পুরোপুরি বদলে গেছে, হঠাৎ রাস্তায় অচেতন হয়ে পড়া ঘটনা ঘটছে।

 

জাতিসংঘ ও ইউনিসেফের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গাজায় চলমান হামলায় হাজার হাজার শিশু নিহত বা পঙ্গু হয়েছে। গত দুই বছরের যুদ্ধে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। হামলায় শত শত চিকিৎসক নিহত হয়েছেন, হাসপাতাল ও চিকিৎসা অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

 

রাঘাদ এবং তার আহত বোনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। রাঘাদ স্বপ্ন দেখেন অন্য শিশুর মতো স্বাভাবিক জীবন কাটানোর—খেলাধুলা করার, ভালো থাকার অধিকার সব শিশুর আছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

এই ঘটনাটি শুধু রাঘাদের জীবনের বিপর্যয়ই নয়, গাজায় চলমান হিউম্যানিটেরিয়ান সংকটেরও একটি ভয়ানক চিত্র।