Image description

চলতি বছরের শুরু থেকে সিরিয়ায় ১০০ জনের কাছাকাছি ব্যক্তির অপহরণ বা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর (ওএইচসিএইচআর)। শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মুখপাত্র থামিন আল-কেতান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “সিরিয়ার আগের সরকারের পতনের ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা এখনও উদ্বেগজনকভাবে বহু অপহরণ ও জোরপূর্বক গুমের রিপোর্ট পাচ্ছি।”

মানবাধিকার দপ্তর জানিয়েছে, প্রকৃত সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে, কারণ দেশের অস্থির নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও তথ্যের সীমিত প্রবেশাধিকার সঠিক হিসাব নির্ধারণে বাধা সৃষ্টি করছে।

আল-কেতান আরও জানান, এই নতুন নিখোঁজদের সংখ্যা চলমান বছরের ঘটনার পাশাপাশি, পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনামলে নিখোঁজ হওয়া এক লক্ষাধিক মানুষের তালিকার অতিরিক্ত।

গত বছর ইসলামপন্থী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম মাত্র ১১ দিনের অভিযানে আসাদ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। যা ১৩ বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়। দেশটিতে এখন অনেকেই অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের দাবি জানাচ্ছেন। বিশেষ করে অন্ধকূপের মতো কারাগার ব্যবস্থায় নির্যাতনের ঘটনাগুলোর জন্য।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আসাদ সরকারের পতনের পর কিছু পরিবার তাদের নিখোঁজ আত্মীয়দের খুঁজে পেয়েছে। তবে বহু মানুষ এখনও তাদের প্রিয়জনদের সম্পর্কে কিছুই জানে না।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে উপকূলীয় অঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলীয় সুয়েইদা শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় নিখোঁজদের খোঁজ করা আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। অনেক সাক্ষী জাতিসংঘের সঙ্গে কথা বলায় হুমকির মুখে পড়েছেন বলেও জানান আল-কেতান।

মানবাধিকার দপ্তর বিশেষভাবে তুলে ধরেছে সিরিয়া সিভিল ডিফেন্সের স্বেচ্ছাসেবক হামজা আল-আমারিনের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা। তিনি ১৬ জুলাই সুয়েইদায় মানবিক উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়ার সময় নিখোঁজ হন। জাতিসংঘ এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।

চলতি বছরের মে মাসে সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে যে, দেশটি ন্যায়বিচার ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের অনুসন্ধান কমিশন গঠন করবে।