Image description

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ ও গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর বিতর্ক এবং মতভেদের মধ্যেই দেশজুড়ে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রায় সবকটি দল এখন নির্বাচনমুখী। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় বাড়িয়েছেন জনসংযোগ, হচ্ছে শোভাযাত্রা, চলছে মোটরসাইকেল ও গাড়ির বহর নিয়ে শোডাউন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তৎপর অনেকে। কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতারা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ভিন্ন কথা বললেও তাদের স্থানীয় নেতারা পিছিয়ে নেই নির্বাচনী প্রচারে। নির্বাচন কমিশনও (ইসি) জোরদার করেছে তাদের প্রস্তুতি। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে গতকাল শুক্রবারও বলা হয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত সোমবার ২৩৬টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারণায় ব্যস্ত জামায়াতে ইসলামীও। আর গত বৃহস্পতিবার থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী আসনে উঠান বৈঠক, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এমন প্রেক্ষাপটে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশায় দেশবাসী তাকিয়ে আছে ভবিষ্যতের দিকে। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক দল, অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নির্বাচনী পালে লাগা হাওয়া আরও জোরে বইতে শুরু করেছে।

এদিকে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সাত দিনের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার। তবে এ ক্ষেত্রে গতকাল পর্যন্ত দেখা যায়নি দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি। জামায়াতের পক্ষ থেকে বিএনপিকে আলোচনার আহ্বান জানালেও বিএনপি কোনো আগ্রহ দেখায়নি। তবে এ জটিলতা ছাপিয়ে সাধারণ মানুষের আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন। ভোট উৎসবে মাততে দিন গুনছেন তারা।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আয়োজনে দীর্ঘ আলোচনার পরও বহুল আলোচিত জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ থেকেই যায়। ফলে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা ও নতুন বিতর্ক দেখা দেয়। এমন প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার আবারও রাজনৈতিক দলগুলোকেই নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে দ্রুত ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যদি রাজনৈতিক দলগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে। গত রোববার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে এই আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই আহ্বানের ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে দৃশ্যমান আলোচনা করতে দেখা যায়নি। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে কয়েকটি দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কথা চালাচালি করছেন বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারও নিজেদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা করছে। সরকার আশা করছে, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই একটা সিদ্ধান্তে আসবে।

এর আগে গত রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানায় জামায়াতে ইসলামী। এরপর গত বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করে আনুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন ডা. তাহের। একই দিনে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে সময় চেয়েছে এনসিপি, এবি পার্টিসহ ৯ দল। ডা. তাহের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করে বসার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি। তিনি আগ্রহের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের সঙ্গে পরামর্শ করে আমাদের জানাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।

এ বিষয়ে গতকাল বিএনপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট বক্তব্য এসেছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য গতকাল (গত বৃহস্পতিবার রাতে) দলের স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কারভাবে আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি। ওটাই আমাদের বক্তব্য।’

বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে জামায়াতের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা জুলাই সনদের ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলোর আইনানুগ বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি সময়মতো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ করা হয়। এ ছাড়া নতুন করে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন বা সংকট সৃষ্টি করে যেন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা না আসে, সে কথাও বলেন তারা।

বৈঠক-পরবর্তী সময়ে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘ আলোচনার পর যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয়েছে, তারা তার অংশীদার হিসেবে সনদে উল্লিখিত সব বিষয় ধারণ করেন। সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করাসহ ৫ দাবিতে আন্দোলনে আছে জামায়াতসহ ৮টি সমমনা রাজনৈতিক দল। গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে দলগুলো। তাদের দাবি না মানলে আগামী মঙ্গলবার বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।

তবে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে দলীয় অবস্থান তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বলেন, ‘আমরা খুব পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, গণভোট হলে নির্বাচনের দিনই হতে হবে। নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই হতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশের মানুষ কিছু মেনে নেবে না।’

গণভোট নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত এবং কয়েকটি দলের দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদের যে বিষয়গুলোতে আমাদের নোট অব ডিসেন্ট ছিল, সেগুলো সনদে উল্লেখ থাকার কথা ছিল; কিন্তু সেটা সেখানে রাখা হয়নি। আমরা সেটা গ্রহণ করিনি। পরবর্তীকালে আমরা দেখলাম হঠাৎ করে একজন উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলনে বললেন, তাদের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, সাত দিন সময় দেওয়া হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে, তারা নিজের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তাহলে এতদিন ধরে যে জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করার জন্য ঐকমত্য কমিশন বসল, সব সংস্কারের প্রস্তাবকে আলাপ-আলোচনা করলেন, সেটা কীভাবে হলো?’

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন গতকাল কালবেলাকে বলেন, ‘কোনো দলের সঙ্গে আমাদের সমস্যা নেই। আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আহ্বানে দীর্ঘদিন আলোচনায় বসে ঐকমত্যে উপনীত হয়েছি। এখন সবকিছুর দায়িত্ব সরকারের। তবে সরকার যদি মনে করে তারা আবারও ডাকবে, তখন আমরা বিবেচনা করব।’

আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে নতুন কোনো বক্তব্য দেব না।’

এ ছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে গতকাল ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট বলে কিছু থাকবে না, যা ঐকমত্য হয়েছে জনগণ বাকিটা ঠিক করবে। জনগণ যদি বলে, সেগুলোই বাস্তবায়িত হবে। আমরা আশা করি, খুব দ্রুতই জুলাই সনদের আইনের ভিত্তির মাধ্যমে আমরা নির্বাচনের দিকে যাব। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাব।’

নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ও কমিশনের প্রস্তুতি: নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ইসি কোনো ধরনের ত্রুটি রাখতে চাইছে না বলে জানা গেছে। ভোটকেন্দ্র চূড়ান্তকরণ, নির্বাচনী সামগ্রী প্রস্তুত রাখা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যস্ত ইসি। অতীতের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে, এবারের নির্বাচনকে আরও গ্রহণযোগ্য করতে কমিশন সচেষ্ট রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা নিজেও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তরুণ ও নারী ভোটারদের গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন, যা নির্বাচনকে সব শ্রেণির মানুষের কাছে আরও অর্থবহ করে তুলবে। অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল নেত্রকোনা সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ঘোষণা রাজনৈতিক মহলে নিশ্চিত করেছে যে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়া এরই মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে এবং সরকার এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর।

প্রার্থী ঘোষণাসহ দলগুলোর প্রস্তুতি: কিছু বিষয়ে মতভেদ থাকলেও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী প্রস্তুতি তুঙ্গে। ভোটের ময়দানে নামার আগে দলীয় অবস্থান সুসংহত করার চেষ্টা করছে সবাই। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এরই মধ্যে ২৩৬টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। দলটির এই পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট যে, তারা পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছে। দলের সিনিয়র নেতাদের নাম সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় থাকায় এ নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামীও অনানুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। যদিও তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ধরন ও জোটগত অবস্থান নিয়ে এখনো স্পষ্টতা কম, তবে তাদের এ উদ্যোগ দেশজুড়ে নির্বাচনী হাওয়াকে আরও গতিশীল করেছে। পাশাপাশি দলটি আরও সাতটি সমমনা দলকে নিয়ে ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগসহ নানামুখী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছেন।

বিএনপি এবং জামায়াতের পাশাপাশি, আরও অন্যান্য দলও নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। এনসিপি তাদের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারে মাঠ গরম : আনুষ্ঠানিক তপশিল ঘোষণার আগেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। দেশজুড়ে সর্বত্রই এখন নির্বাচনের ডামাডোল। প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। তারা ছোট ছোট ‘উঠান বৈঠক’ করছেন, যেখানে স্থানীয় সমস্যা শুনছেন এবং তা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। গণসংযোগের মাধ্যমে তারা নিজেদের পরিচিতি বাড়াচ্ছেন এবং এলাকার মানুষের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করছেন। প্রথাগত প্রচারের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও এখন প্রচারের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে এবং দ্রুত বার্তা ছড়িয়ে দিতে অনেক প্রার্থী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন।

সুষ্ঠু ভোট সবারই প্রত্যাশা: পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীর নাম ঘোষণা, ইসির প্রস্তুতি এবং সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণার ফলে ভোটগ্রহণ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। জনগণ আশা করছে, আসন্ন নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ, যা জনগণের ভোটাধিকারকে সুনিশ্চিত করবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম কালবেলাকে বলেন, ‘দেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে চলা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে এই নির্বাচন দেশকে একটি নতুন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে নিয়ে যাবে বলে মনে হয়। দেশের কোটি কোটি ভোটার এখন অধীর আগ্রহে সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা করছে, যেদিন তারা স্বাধীনভাবে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।’