ইসরাইলের অধিকাংশ নাগরিক মনে করেন, দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া উচিত নয়। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) টেলিভিশন চ্যানেল ১২–এর এক জনমত জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপ অনুযায়ী, ৫২ শতাংশ ইসরাইলি নাগরিক নেতানিয়াহুর প্রার্থিতার বিপক্ষে মত দিয়েছেন। অপরদিকে ৪১ শতাংশ বলেছেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। ৭ শতাংশ উত্তরদাতা এ বিষয়ে অনিশ্চিত মত প্রকাশ করেছেন।
নেতানিয়াহু না থাকলে লিকুদ পার্টির নেতৃত্বে কাকে দেখতে চান—এমন প্রশ্নে *৪৮ শতাংশ* বলেছেন, তারা নিশ্চিত নন বা কোনো বিকল্পকেই উপযুক্ত মনে করেন না। সম্ভাব্য বিকল্পদের মধ্যে সর্বাধিক সমর্থন পেয়েছেন সাবেক মোসাদ প্রধান ইয়োসি কোহেন (১০ শতাংশ)। এরপর ক্রমানুসারে রয়েছেন—
* কৌশলবিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার (৯ শতাংশ)
* প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ (৮ শতাংশ)
* বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন (৭ শতাংশ)
* নেসেট স্পিকার আমির ওহানা (৬ শতাংশ)
* অর্থমন্ত্রী নির বারকাত (৫ শতাংশ)
* পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’আর (৩ শতাংশ)
* কৃষিমন্ত্রী আভি ডিখটার (২ শতাংশ)
* জ্বালানিমন্ত্রী এলি কোহেন (১ শতাংশ)
* পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ (১ শতাংশ)
অন্যদিকে, নেতানিয়াহুবিরোধী জোটের নেতৃত্বে কাকে দেখতে চান—এই প্রশ্নে ৪৪ শতাংশ উত্তরদাতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের পক্ষে মত দেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ইয়েশ আতিদ পার্টির প্রধান ইয়ায়ির লাপিদ (১৬ শতাংশ)। এছাড়া ইয়ার গোলান ও গাদি আইজেনকট—উভয়েই ১১ শতাংশ করে সমর্থন পান। আবিগদোর লিবারম্যান পান ১০ শতাংশ এবং বেনি গ্যান্টজের পক্ষে মত দেন মাত্র ২ শতাংশ।
এর আগে ১৮ অক্টোবর ইসরাইলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১৪–এর এক সাক্ষাৎকারে ২০২৬ সালের নভেম্বরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে পুনরায় প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
উল্লেখ্য, ডানপন্থি লিকুদ পার্টির নেতা নেতানিয়াহু ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী। তিনি ১৯৯৬–১৯৯৯, ২০০৯–২০২১ এবং ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন। সব মিলিয়ে তিনি প্রায় ১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইসরাইল