Image description
 

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ায় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ছেন, এমন মন্তব্যের পরই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

 

প্রায় ৫০ মিনিট স্থায়ী বৈঠকের শুরুতে ল্যাভরভ এবং রুবিও কেউই সাংবাদিকদের কাছে কোনো মন্তব্য করেননি।

বৈঠকের পর রুবিও জানান, তাদের মধ্যে একটি স্পষ্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। তিনি ট্রাম্পের হতাশা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে নমনীয়তা দেখা যায়নি। রুবিও জোর দিয়ে বলেন, এ সংঘাত কীভাবে শেষ হতে পারে, সে বিষয়ে আমাদের একটি রোডম্যাপ দরকার।

রুবিও-ল্যাভরভের বৈঠকের দিন সকালেই রাশিয়ার ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের রাজধানীতে আঘাত হানে। রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান হামলায় ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চাপের মুখে পড়েছে, যার ফলে হাজার হাজার মানুষ রাতারাতি বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছে।

এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রাশিয়া ১৮টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং প্রায় ৪০০টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে, যা মূলত রাজধানী কিয়েভকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে। এর আগের রাতে মস্কো তাদের ছোট প্রতিবেশী দেশটির ওপর রেকর্ড ৭২৮টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছিল।

অন্যদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউক্রেন, ইরান এবং সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে ‘বস্তুনিষ্ঠ ও স্পষ্ট মতবিনিময়’ হয়েছে।

রুবিও ও ল্যাভরভের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সরাসরি বৈঠক। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরবে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এই দুই শীর্ষ কূটনীতিক বৈঠকে বসেছিলেন। 

 

 

 

এদিকে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০টিরও বেশি দেশের ওপর, যার মধ্যে আসিয়ানের বেশ কয়েকটি সদস্য দেশও রয়েছে, ২০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছেন।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম কুয়ালালামপুরে আঞ্চলিক নেতাদের সমাবেশে শুল্ককে ভূ-রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। যদিও রুবিও এশিয়ার প্রতি ওয়াশিংটনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন, ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতিগুলো কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলছে।

মালয়েশিয়া সফরের পর ল্যাভরভ উত্তর কোরিয়া সফর করবেন, যা মস্কো এবং পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে। এ সফর ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান জোটবদ্ধতাকে তুলে ধরছে, যেখানে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে সেনা ও অস্ত্র সরবরাহ করেছে।