
সাইবেরিয়ার এক ধর্মীয় গোষ্ঠীর নেতা, যিনি নিজেকে যিশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম দাবি করেছিলেন, তার অনুসারীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করার দায়ে রাশিয়ার নভোসিবিরস্কের একটি আদালত সোমবার তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
সোমবার ( ৩০ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য মস্কো টাইমস।
সের্গেই তোরোপ, যিনি নিজেকে ‘ভিসারিওন’ নামে পরিচয় দেন, ১৯৯১ সালে একটি ‘দিব্য’ প্রাপ্তির দাবি করে চার্চ অফ দ্য লাস্ট টেস্টামেন্ট নামে গির্জা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি হাজার হাজার অনুসারীকে সাইবেরিয়ার দুর্গম অঞ্চলে নিয়ে যান, যেখানে প্রায় ৩০০ জনের একটি মূল দল ‘আবড অফ ডন’ নামের একটি পাহাড়ের চূড়ায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বসবাস করত।
রাশিয়ার প্রসিকিউটর জেনারেলের দপ্তর জানায়, তোরোপ ও তার দুই সহযোগীকে এমন একটি ধর্মীয় সংগঠন গঠন এবং পরিচালনার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, যা সদস্যদের নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং তাদের শারীরিক ক্ষতি করেছে।
প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, ১৯৯১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তোরোপ মানসিকভাবে প্রভাবিত করে তার অনুসারীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থ ও শ্রমের জন্য তাদের শোষণ করেছেন। তার কর্মকাণ্ডের ফলে ১৬ জনের ‘নৈতিক ক্ষতি’, ৬ জনের ‘গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা’ এবং একজনের ‘মধ্যম মাত্রার ক্ষতি’ হয়েছে।
২০২০ সালে ক্রাসনোয়ারস্ক অঞ্চলের তার কমিউনে হেলিকপ্টার অভিযানে ৬৪ বছর বয়সী তোরোপকে গ্রেফতার করা হয়। তার সহযোগী বাদিম রেডকিন এবং ভ্লাদিমির ভেডিওর্নিকভকে যথাক্রমে ১১ এবং ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তিনজনেই কোনো অপরাধের কথা অস্বীকার করেছেন। তারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
আদালত ভুক্তভোগী এবং রাষ্ট্রের প্রসিকিউটরদের জন্য ৪৫ মিলিয়ন রুবল (৫ লাখ ৭২ হাজার ডলার) ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে।
সোভিয়েত-পরবর্তী ১৯৯০-এর দশকে মতাদর্শিক শূন্যতার মধ্যে ভিসারিওনের এই আন্দোলন জনপ্রিয়তা পায় এবং কোভিড-১৯ মহামারির সময় আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, বাইরের মানুষের জন্য তাদের কমিউন বন্ধ করে দেয়।