Image description

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থা একদিনে দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিবাসীকে আটক করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্টিফেন মিলার এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি–বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েমের নির্দেশের পর ধরপাকড়ের মধ্যে এই আটকের খবর এল।

মার্কিন সংবাদমাধ্যেম এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (৩ জুন) ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ২ হাজার ২০০ জনের বেশি অভিবাসীকে আটক করেছে। আটকদের মধ্যে বেশিরভাগকেই বিকল্প আটক কর্মসূচির অধীনে রাখা হয়েছে।

 
এই কর্মসূচির আওতায় জননিরাপত্তার জন্য হুমকি নন এমন অনথিভুক্ত অভিবাসীদের অ্যাঙ্কেল মনিটর, স্মার্টফোন অ্যাপ বা অন্যান্য ভূ-অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে নজরদারিতে রাখা হয় এবং নিয়মিত আইসিই অফিসে হাজিরা দিতে হয়।
 
প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব কর্মসূচির অধীনে থাকা অভিবাসীদের গণ-এসএমএসের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের আগেই যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থার অফিসে আসতে বলা হয়েছিল। তারা উপস্থিত হলে তাদের আটক করা হয়।
 
 
আইনজীবীরা জানান, সাতজন অভিবাসীকে আইসিই অফিসের বাইরে হাতকড়া পরিয়ে সাদা গাড়িতে তুলে নিতে দেখা গেছে। আটককৃতদের মধ্যে ৩০ বছর বয়সি এক কলম্বিয়ান ব্যক্তিও ছিলেন। তার আইনজীবী মার্গারেট কারগিওলি, যিনি ইমিগ্র্যান্ট ডিফেন্ডার্স ল সেন্টারের পরিচালক, জানান তার মক্কেল নিয়মিতভাবে আইসিই’র সব নির্দেশ মেনে চলতেন এবং খুবই সহযোগী ছিলেন।
 
এই পরিস্থিতিতে অভিবাসীরা এখন উভয় সংকটে পড়েছেন। আইসিই অফিসে উপস্থিত হলে আটকের ঝুঁকি এবং অনুপস্থিত থাকলে স্বয়ংক্রিয় নির্বাসনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
 
এনবিসি বলছে, পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, আইসিই সুবিধায় উপস্থিত হলে অভিবাসীদের আটক করা এবং অভিবাসীদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট মিস করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাসন দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
 
 
আইসিই’র একজন মুখপাত্র বলেন, আটক অনেকের বিরুদ্ধে অভিবাসন বিচারক কর্তৃক বহিষ্কারের চূড়ান্ত আদেশ এসেছিল, কিন্তু তারা সেই আদেশ মেনে চলেননি।
 
তবে একাধিক আইনজীবী আইসিই’র এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তারা বলছেন, তাদের মক্কেলের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের চূড়ান্ত আদেশ ছিল না।