
এবার ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে বড় ধরনের হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যদিও এটি তাদের ভাষায় বরাবরের মতো ‘অভিযান’ বলা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে তেলআবিবে বাসে বিস্ফোরণের জেরে তিনি দেশটির সেনাবাহিনীকে এ নির্দেশ দেন। খবর রয়টার্সের।
বিস্ফোরণের পর নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে এক্সে পোস্ট করা হয়। তাতে বাসে বিস্ফোরণের ওই ঘটনাকে ‘গণহামলার চেষ্টা’ বলে উল্লেখ করে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসবাদের আস্তানাগুলোতে ব্যাপক অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ধারাবাহিকতায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করবে। ইতোমধ্যে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে কোথায় তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
সেনাবাহিনী গত মাস ধরে পশ্চিম তীরে একটি বৃহৎ পরিসরে সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে । তাদের দাবি, জঙ্গিদের লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এসব অভিযানে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি এবং অবকাঠামো ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে। নির্যাতনে বাধ্য হয়ে পশ্চিম তীরের হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে তাদের ঠাঁই হয়েছে শরণার্থী শিবিরগুলোতে। সেখান থেকেও যাকে তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গত দুই বছরে নেতানিয়াহু সন্ত্রাসী অভিযানের নামে গাজা, লেবানন, ইয়েমেন, সিরিয়ায় হামলা চালান। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে ইরাকেও হামলার ঘটনা ঘটে। সব হামলাকেই সন্ত্রাসবিরোধী ও আত্মরক্ষার অজুহাতে বৈধতা দেয় পশ্চিমা বিশ্ব।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ শহর তেলআবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ঘটনাকে ইসরায়েলি পুলিশ ‘সন্দেহভাজন সন্ত্রাসী হামলা’ বলে দাবি করছে। বিস্ফোরণের পর ইসরায়েলজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিরাপদ স্থানে সরে গেছেন হাজারো মানুষ।
এ ছাড়া আরও দুটি বাসে স্থাপন করা বিস্ফোরক ডিভাইস খুঁজে পায় পুলিশ। সেসব বিস্ফোরিত হওয়ার আগেই উদ্ধার করেছে বোমা বিশেষজ্ঞ দল। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে এসব ঘটনা ঘটে।
শহরটির দক্ষিণে বাত ইয়াম ও হলনে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, বাস তিনটি খালি ছিল। তাই কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিস্ফোরণে আগুন ধরে বাস তিনটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
ঘটনার পর পুলিশের বড় একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্দেহভাজনদের খোঁজ করছে। আশা করছে, তেলআবিব ত্যাগ করার আগেই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার সম্ভব হবে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ দেশের সব বাস, ট্রেন এবং হালকা রেল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। যাতে পরিবহনগুলোতে বিস্ফোরক ডিভাইসের খোঁজ করা যায়।