Image description
 

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের পর এখন নতুন আতংকের নাম মিরপুর। অবাধে চলছে চুরি- ডাকাতি।কিছুতেই থামছে না খুনখারাবি। একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলছে।গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর এ ব্লকের ২০ নম্বর লাইনে একদল সংঘবদ্ধ ডাকাত এক রাতে ছয়টি দোকান ও বাসায় হানা দিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ভোর রাত ৪টা ২০ মিনিটে একটি প্রাইভেটকার থেকে তিন ব্যক্তি নেমে ‘মা মনি’ স্টোর নামে একটি মুদি দোকানের তালা কেটে ডাকাতি করে। তালা কেটে দোকানের মালপত্র ও নগদ টাকা লুট করে তারা চলে যায়। পরে আবার ফিরে এসে সাটার খুলে ক্যাশ বাক্স ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে গাড়িতে তুলে নেয়। একই কৌশলে পাশের তিনটি দোকান ও দুটি বাসায় ডাকাতি চালায় চক্রটি।একই কৌশলে কাছাকাছি তিনটি দোকানে ডাকাতি করেছে একই চক্র। ভোর ৫টা পর্যন্ত চলে চক্রের অভিযান। এছাড়া ওই এলাকার আরও দুটি বাসায় একই সময় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

 

এর আগে পল্লবী এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির অভিযোগে পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ই ব্লকের ৫ নম্বর রোডের শহীদ জিয়া কলেজের উত্তর পাশের রাস্তায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি ছুরি, একটি রামদা ও চারটি ককটেল উদ্ধার করা হয়।গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সোহেল হাওলাদার (২৯), মো. রাজা (৩২), শাহাদাৎ হোসেন (৩৬), আবদুল মান্নান (২৯) ও মো. সুজন (৩০)।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের ই ব্লকের ৫ নম্বর রোডের শহীদ জিয়া কলেজের উত্তর পাশে সাগর জেনারেল স্টোরের সামনের রাস্তায় ডাকাতি করার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা তিন-চারজন দৌড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় একটি মামলা হয়েছে।

 

এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা পেশাদার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতির উদ্দেশ্যে তাঁরা দেশীয় অস্ত্র, ককটেলসহ একত্র হয়েছিলেন বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।পাশাপাশি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই উত্তাল ছিল মোহাম্মদপুর। রাজধানীর যে পাঁচ স্থানে বেশি আন্দোলন ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে একটি মোহাম্মদপুর থানা এলাকা। আবার সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দায়ের হয় এই এলাকায়। গণঅভ্যুত্থানের পর আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠে এই এলাকা। ইতোমধ্যে প্রাণ গেছে ৯ জনের, আহত প্রায় অর্ধশত। এই সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। কারণ, ছিনতাই-ডাকাতি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের মতে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোর না হওয়ায় কমছে না অপরাধ। গত কয়েকমাসে বেশ কয়েকজন যুবক খুন হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরো অনেকে।