Image description
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। চারটি শর্ত পূরণ সাপেক্ষে মাদ্রাসাগুলোকে এমপিওভুক্তি করা যাবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
সোমবার (৩ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মীর তায়েফা সিদ্দিকা স্বাক্ষরিত নির্দেশনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
শর্তগুলো হলো-
(ক) প্রথম পর্যায়ে, যে সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা স্থাপন, স্বীকৃতি, পরিচালনা, জনবল কাঠামো এবং বেতন-ভাতাদি/অনুদান সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০১৮ এর সব শর্তপূরণ করেছে, তাদের এমপিওভুক্ত করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের বিস্তারিত প্রতিবেদন গ্রহণ করতে হবে।
(খ) দ্বিতীয় পর্যায়ে, ২০১৮ সালের নীতিমালার শর্তপূরণ সাপেক্ষে জেলা প্রশাসকদের বিস্তারিত প্রতিবেদন গ্রহণ করে অবশিষ্ট মাদ্রাসা সমূহকে ক্রমান্বয়ে এমপিওভুক্ত করতে হবে।
(গ) এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা ও শিক্ষকদের সংখ্যা চূড়ান্তকরণের পূর্বে অর্থ বিভাগের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে।
(ঘ) এমপিওভুক্তকরণের পর সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার অনুদানভুক্তি বাতিল করতে হবে।
এর আগে রোববার (২ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় আশ্বাস দিয়েছে ওইদিনে মধ্যে অনুদানভুক্ত ইবতেদায়ি মাদ্রাসার জাতীয়করণের প্রক্রিয়া শুরুর ব্যাপারে।পরে সোমবারও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকরা। দুপুরে তারা যমুনা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করলে পুলিশি বাধার মুখোমুখি পড়েন। বিকেলে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে আলোচনার জন্য যায়।
 
তবে, এতে অসন্তোষ জানিয়েছেন অনুদানবিহীন মাদ্রাসার শিক্ষকরা। অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন সব ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে জাতীয়করণের আওতায় না নিয়ে আসা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক নেতারা।
 
তারও আগে, গত  ১২ অক্টোবর ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকরা। ৩০ অক্টোবর বিকালের মধ্যে এ নিয়ে গেজেট প্রকাশ না করা হলে আগামী ২ নভেম্বর প্রেস ক্লাব টু যমুনা অভিমুখে লং মার্চের ঘোষণা দেন তারা।