
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হল সংসদে নবনির্বাচিত রিডিংরুম, ডাইনিং ও হল লাইব্রেরি সম্পাদক শিহাবুর রহমান শিহাবকে ধমক দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হলের প্রভোস্টের বিরুদ্ধে। এছাড়া ওই সম্পাদককে, বিভিন্ন জায়গা থেকে ফান্ড এনে নিজের টাকায় ইশতেহার পূরণ করতে বলারও অভিযোগ উঠে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে নবনির্বাচিত রিডিংরুম, ডাইনিং ও হল লাইব্রেরি সম্পাদক শিহাবুর রহমান শিহাবকে একথা বলেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এনামুল হক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হল শিহাব বলেন, 'আলাওলের ডাইনিং এ আমি গতমাসে সহকারী ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম। সেখানে বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কম থাকায় সেগুলোর একটা তালিকা করে গত মাসে প্রভোস্ট স্যারের নিকট একটা আবেদন করেছি। নতুন সরঞ্জামের বিষয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। আজকে সকালে ডাইনিং এ গিয়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের একটা তালিকা করে স্যারের কাছে যাই। স্যার তখন হলের রিডিং রুমে ছিলেন। তখন আমি স্যারকে রিডিং রুমের চেয়ার টেবিল নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কিছুটা রাগান্বিত হয়ে বলে, তুমি কে? তুমি এমন প্রশ্ন করছো কেন? অফিসে জিজ্ঞেস করো গিয়ে! পরে আমি পরিচয় দিই। এরপর স্যার বলে যে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফান্ড এনে নিজের টাকায় তোমাদের ইশতেহার পূরণ করো।
প্রভোস্টের এমন মন্তব্যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছ।
এবিষয়ে আলাওল হলের সহ-সভাপতি (ভিপি) রাকিব মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি আমি বিস্তারিত জানি না। জরুরি প্রয়োজনে ক্যাম্পাসের বাহিরে এসেছি আমি। পুরো ঘটনা জেনে স্যারের সাথে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করবো।
জানতে চাইলে আলাওল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, ‘আজকে সকালে আমি রিডিং রুম দেখতে গেলে একজন শিক্ষার্থী এসে বলে রিডিং রুমে চেয়ার টেবিল নেই কেন?। আমি বলেছি তুমি কি জানো না এটা? আসলে রিডিং রুমের চেয়ার টেবিলের জন্য কোনো বাজেট ছিল না। পরে আমি নিজ উদ্যোগে ৫০ টি চেয়ার ও ৫টি টেবিল মোট ৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় কিনার ব্যবস্থা করেছি। তবে সেগুলো মানসম্মত না হওয়াতে সেগুলো ফেরত দেওয়া হয়।‘
তিনি আরও বলেন, ‘একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে এগুলো তো তোমার জানার কথা, আমি এ কথা বলেছি শিহাবকে। ইশতেহার সংক্রান্ত কোনো কথা আমি তাকে বলিনি। শিক্ষার্থীরা টাকা কোথা থেকে পাবে। তারা তো আমার সন্তান। আমি বিগত এক বছরে ৪০ লাখ টাকার সংস্কার কাজ করেছি পুরো হল জুড়ে। এটা তো কেবল সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য।‘