
ড. মোকাররম হোসেন
---উপরের উক্তিটি ডঃ ইউনুসের । নিকটজনের কাছে এভাবেই তিনি প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছিলেন মে মাসের দিকে। মে মাসের মাঝামাঝি যখন জেনারেল ওয়াকার প্রকাশ্যে ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, শুরুতে ডঃ ইউনুস কিছুটা অপমানিত বোধ করলেও নিজেকে সামলে নেন। প্রতিজ্ঞা করেন, তার সরকারকে হুঁংকার দেয়ার জন্য জেনারেল ওয়াকারকে তিনি দেখে নিবেন। সেই থেকেই দেশে ২ টা সরকার সমান্তরালে চলছে; ডঃ ইউনুস বনাম জেনারেল ওয়াকারের সরকার ।
-- খু**নি নরপশু সেনা অফিসারদের সেইফ এক্সিট দিতে জেনারেল ওয়াকার হেন কোন চেষ্টাই বাকি রাখেনি। তার সবশেষ চেষ্টা ছিলো ক্যান্টমেটের মধ্যেই খু*নিদের জামাই আদরে রেখে, বিচারের নামে নাটক করা ।
--ডঃ ইউনুস বাকি ৪ মাসে আর কওটুকু করতে পারবেন, জানি না। কিন্তু ইতিমধ্যে তিনি ক্যণ্টমেন্টের খু*নিদের বেসামরিক আদালতে আনতে বাধ্য করার যে সফলতা দেখিয়েছেন, সেটা এই উপমহাদেশ তো বটেই, এশিয়া মহাদেশ নজিরবিহীন ।
---আমাদের বড়ই দুর্ভাগ্য । মুসলিম বিশ্বের সবখানেই একই চিত্র। তুরস্কে জেনারেলরা একসময় জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতো। মিশরের অবস্থা আরও চরমে। সেদেশে জনগণের ভাগ্য বন্ধি গুটি কতেক জেনারেলদের হাতে। ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, বিদেশনীতি তাঁরাই ঠিক করে দেয়। খু*নি জেনারেলদের উচ্চাভিলাশের কারনে পাকিস্থান নামক রাষ্ট্রটা ৮০ বছর পরেও জনগণনের রাষ্ট্র হয়ে উঠলো না। কবে হবে জানি না। সেখানে সেনাবাহিনী আর জনগণ যেন ভিন্ন জগতের দুই বাসিন্দা। দুই মেরুর জন্য দুই নিয়ম (কার্টুনটা দেখুন)। কার্টূনিষ্ট বুঝাতে চেয়েছেন, পাকিস্থানের আলোচিত দ্বি-জাতিতত্ত্ব মূলত সেনাবাহিনী বনাম জনতা এই দুই জাতী, দুই নিয়ম। একদল গরীব আরেকদল আইনের উর্ধে। সেখানে বেসামরিক সরকারও মূলত সেনা পাণ্ডাদের হাতের পুতুল।
--বিগত ফ্যাসিষ্ট শাসন আমলে ভারত ফ্যসিষ্ট হাসিনাকে লালনের পাশাপাশি একদল খু*নি, লোভী জেনারেল তৈরি করেছিলো যারা ছিলো মূলত ভারতের পা-চাটা গোলাম। " They (Generals) are more loyal to India than to Hasina" এমটাই বলেছিলেন দেশের এক প্রধান দলের শীর্ষ নেতা। এই জেনারেলরা আইনের উর্ধে ছিলো । যখন যেটা ইচ্ছে করতে পারেন ।
--আলহামদুলিল্লাহ। আজকে নরপশু জেনারেলদের বেসামরিক আদালতে দেখে মনে শান্তি পাচ্ছি। জুলাই শহীদের ত্যাগ এখনো নিভু নিভু জ্বলছে।