
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর শিক্ষার্থী শ্রীশান্তকে ধর্ষণ, বোরকা, হিজাব ও নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও শ্রীশান্ত এক মুসলিম ছাত্রীকে ধর্ষণ করার পর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটে গর্বের সঙ্গে প্রকাশ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে, রেডিটে তার আসল নাম-পরিচয় ছিলো না। সে ‘WeeklyService923' নামে ব্যবহার করত।
রেডিট ব্যবহারের সময়ে এক জায়গায় নিজেকে ‘বুয়েট ইইই-২১’ ব্যাচের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দেন। এরই সুত্রধরে বুয়েটের ২১ ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থীরা এই আইডিটির আসল ব্যবহারকারীকে খুঁজতে শুরু করে। তারপর বিভিন্ন সুত্র ধরে অবশেষে খুঁজে পায় শ্রীশান্ত রায়কে।
যে যে সুস্পষ্ট মিলের সূত্র ধরে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায় বলে নিশ্চিত হয়-
রেডিট ব্যবহারকারী একাধিক পোস্টে নিজেকে ‘বুয়েট ইইই-২১’ ব্যাচের শিক্ষার্থী বলে উল্লেখ করেছেন, পরবর্তীতে অন্য এক পোস্টে বেসুস ব্র্যান্ডের এয়ারবাডস ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তার সহপাঠীরা নিশ্চিত হন শ্রীশান্ত রায় ‘বুয়েট ইইই-২১’ এর শিক্ষার্থী এবং একই সাথে ব্র্যান্ডের এয়ারবাডস নিয়মিত ব্যবহার করেন।
রেডিটে ব্যবহারকারী ২০২৫ সালের জুন মাসে নেপালের মুস্তাং এলাকায় ভ্রমণে যান। একই সময় (৩ জুন) শ্রীশান্ত রায় তার ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়ায় মুস্তাং থেকে তোলা ছবি পোস্ট করেন।
অভিযুক্ত রেডডিট আইডির লেখার টোন, ভাষা ও ব্যবহৃত শব্দচয়ন শ্রীশান্তের লেখনভঙ্গির সঙ্গে খুব মিলে যায় বলে নিশ্চিত করেন তার বহু সহপাঠী।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বর্জনের স্বাক্ষর অভিযান চলাকালে শুধুমাত্র শ্রীশান্ত রায়ই সেই কাগজে স্বাক্ষর দেননি। অনেকের মতে, এই অবস্থান তার রেডিট পোস্টগুলোর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।