গণ-অভ্যুত্থানের ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো আহতরা তাদের দাবি আদায়ে নামছেন রাজপথে। বিষয়টি যেমন কষ্টের, তেমনি সৃষ্টি করছে নানা সন্দেহের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র হান্নান মাসউদ বলেন, দাবির বিষয়ে আলোচনা করা যায়। কিন্তু অর্থের জন্য কেউ জুলাই আন্দোলন করেননি। একটি পক্ষ এই যোদ্ধাদের জাতির কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করতে উসকে দিচ্ছে।
কোটাবিরোধী থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরপর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান। জুলাই থেকে ৫ আগস্ট- ৩৬ দিনে স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন প্রায় দুই হাজার মানুষ। আহত হয়েছেন ২২ হাজারের বেশি।
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে কেউ আহত হয়েছেন। আবার অনেকে আন্দোলন ঠেকাতে গিয়েও আহত হয়েছেন। এমন একটা বড় শঙ্কাও আছে। তাদেরকে আমরা আলাদা করতে পারিনি। অভ্যুত্থানে আহত এবং শহীদ পরিবারকে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করছে একটি পক্ষ।
বিভিন্ন স্তরে বুঝা যায় যে, পুরনো শাসক সরকারের সহযোগীরা এখনও আছেন। সেটা চিকিৎসকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পর্যায়েও রয়েছে। এর ফলে মানুষ যখন নানা প্রয়োজনে সরকারের কাছে যাচ্ছে, তখন তারা একই ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছেন। সেটা তাদেরকে ক্ষুব্ধ করছে।