অধূমপায়ীদের মধ্যেও মরণব্যাধী ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণনা বাড়ছে। কারণ হিসেবে বায়ুদূষণকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। আজ মঙ্গলবার বিশ্ব ক্যানসার দিবসে প্রকাশিত এক গবেষণায় এসব তথ্যই জানিয়েছে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ল্যানসেট রেসপিরেটরি মেডিসিন।
ল্যানসেটের গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী অধূমপায়ীদের মধ্যে ৫৩-৭০ শতাংশের ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে দায়ী অ্যাডেনোকার্সিনোমা। এই অ্যাডেনোকার্সিনোমা হচ্ছে এক ধরনের ফুসফুসের ক্যানসার, যা শ্লেষ্মা জাতীয় তরল উৎপাদনকারী গ্রন্থিগুলো থেকে উৎপন্ন হয়।
অ্যাডেনোকার্সিনোমা সিগারেটের ধোয়া থেকে হয় না। আর বিশ্বব্যাপী ধূমপায়ীদের সংখ্যাও কমেছে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে বেড়েছে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী। আর ফুসফুসের ক্যানসারের যতগুলো ধরণ রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে এই অ্যাডেনোকার্সিনোমা।
গবেষণা মতে, নারী-পুরুষভেদে এই ক্যানসারে আক্রান্তে তেমন তারতম্য দেখা যায় না। ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী নতুন করে ৯ লাখের বেশি নারী ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশই অ্যাডেনোকার্সিনোমায় আক্রান্ত।
ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ল্যানসেট বলছে, ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত ৯ লাখের বেশি নারীর মধ্যে ৮০ হাজারই বায়ুদূষণের কারণে এই জটিলতার শিকার হয়েছেন।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (আইএআরসি) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞরা এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন।
এর আগে ২০১৯ সালে একটি গবেষণায় জানা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বায়ুমান নিয়ে যে মাত্রা দিয়েছে, বিশ্বের প্রায় সব মানুষই এই মানের নিচে বাস করছেন।