আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশে গণতন্ত্র ছিল না উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে ১০ লাখ লোকের মিটিং হলো, শেখ হাসিনার জল্লাদ নরাধম পশুরা সেই ১০ লাখ লোকের সভাটি এক ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকা বানিয়ে ফেলল। রক্তাক্ত হয়ে গেল নয়াপল্টন অফিসের মাটি। এ দেশ এমন একটা দেশ হয়ে গেল, কথা বললেই গুলি খেত হতো, জেলে যেতে হতো। হাসিনার অত্যাচার হিটলারের চেয়েও বেশি ছিল।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা টাউন হল মাঠে আয়োজিত ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে কুমিল্লা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে বিকেল ৩টায় ঐক্য সংহতি পরিষদ, কুমিল্লা বাঁচাও এবং সচেতন রাজনৈতিক ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত অতি জরুরি সংস্কারপূর্বক অবিলম্বে নির্বাচিত সরকারের প্রত্যয়ে আয়োজিত কুমিল্লা সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশস্থলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই উপজেলা, মহানগর দক্ষিণ থানা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যোগ দেন।
সমাবেশে তিনি আরো বলেন, ‘এই টাউন হল মাঠে ১৬ বছর কাউকে কথা বলতে দেয়নি আওয়ামী লীগ।
হাসিনার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ২০১৪ সালে ইলেকশন দিলেন, সেই ইলেকশনে ১৫৩টি সিট পার্লামেন্টে আগেই পাশ করে ফেলল! বাকি সিটে কোনো ইলেকশন হলো না। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাসিনা ক্ষমতায় বসে গেল পাঁচ বছরের জন্য।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলখানায় গেলেন, লাখো কর্মীর নামে মামলা হলো, রাজপথ উত্তপ্ত হলো। এর মধ্যে এলো ২০১৮ সালের ইলেকশন। সেই ইলেকশনের আগে ড. কামাল হোসেনকে নেতৃত্বের আসনে বসিয়ে বিএনপিসহ একটি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট হলো। হাসিনা ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের ডাকলেন।
ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী। বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে জাতীয় নির্বাচন দিয়ে দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুন। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে সঠিক সময়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন। বাংলাদেশের মানুষ একটি কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। সাবেক কাউন্সিলর খলিলুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশ বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা বক্তব্য দেন।