Image description
 

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ৪৭টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রার্থীরা। সদ্য সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দলটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়ে মুখপাত্রের দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি এনসিপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পেলেও এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না।

 

সোমবার সন্ধ্যায় বাংলামোটরে অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

 

এনসিপি নির্বাচনি যাত্রায় পুরোপুরি ঢুকে পড়েছে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা নির্বাচনি বৈতরণী পার করার জন্য জামায়াত জোটে গিয়েছি। তবে কতটি আসনে জোট হবে, সে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তাই আমরা ৪৭টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা কিছুটা বাড়িয়েই মনোনয়নপত্র সাবমিট করেছি। অনেকেরটা বাতিল হতে পারে, অনেক ভুলত্রুটি থাকতে পারে। আগামী কয়েকদিনে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে যে এনসিপি কয়টি আসনে প্রার্থী হবে, আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হবে।

ঢাকা-১০ ও কুমিল্লা-৩ আসনে কেউ নেই জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, যেখানে জোটের প্রার্থী থাকবে আমরা তার তার পক্ষে কাজ করব।

জামায়াতের সঙ্গে কত আসনে সমঝোতা হয়েছে এবং সমঝোতার জন্য এনসিপির যারা প্রার্থী হতে পারছেন না তাদের বিষয়ে দল কী ভাবছে জানতে চাওয়া হয় নাহিদ ইসলামের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, এনসিপির সারা দেশের নেতাকর্মীরা গণভোটে হ্যাঁ ভোটের পক্ষে কাজ করবে এবং জোট থেকে যেই প্রার্থী থাকুক না কেন আমরা তার পক্ষে সবাই মিলে কাজ করব। এটা দলের স্বার্থে এবং এই সময়ে আমরা যে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিÑসেটা আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামতের ভিত্তিতেই। দলের স্বার্থে ও রাজনীতির স্বার্থে সবাই বিষয়টা মেনে নেবেন। তাদের যে ব্যক্তিগত আত্মত্যাগ সেটা অবশ্যই দল পরবর্তী সময়ে মূল্যায়ন করবে।

জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা ১০ দলের নির্বাচনি সমঝোতায় থাকা এনসিপিকে ৩০টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার গুঞ্জন রয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, আসন সমঝোতা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। এবি পার্টি গত রোববার এ সমঝোতায় যুক্ত হওয়ায় ওই দিন রাতে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। ফলে আজ মঙ্গলবার জোটের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হবে। সেখানে এনসিপিকে ছাড় দেওয়া আসন সংখ্যা ৩০ থেকে কমতে-বাড়তে পারে।

সংসদীয় ৩০০ আসনে জামায়াত জোটের শরিক দলগুলোর একক প্রার্থী দেওয়ার কথা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে সমঝোতা হওয়ার আসনের বাইরে কোনো দলের প্রার্থী হলে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। আগামী ২০ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন পর্যন্ত এ সুযোগ রয়েছে।