ফের ফেসবুকে নিজ অবস্থান জানালেন এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। জামায়াতের সঙ্গে জোট, দলীয় মতভিন্নতা ও নির্বাচন নিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে তিনি জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক পোস্টে সামান্তা শারমিন বলেন, ভিন্ন মতাদর্শ ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে আসা মানুষদের নিয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ভেতরে মতবিরোধ ও অভ্যন্তরীণ বিতর্ক স্বাভাবিক বিষয়। মাত্র ১০ মাসের রাজনৈতিক যাত্রায় একটি দলের সাংগঠনিক মধ্যমপন্থা চূড়ান্ত হয়ে যাবে—এমন প্রত্যাশা বাস্তবসম্মত নয়। সে কারণেই দলটির ভেতরে ‘ইনার পার্টি স্ট্রাগল’ অনিবার্য হয়ে উঠেছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরও লেখেন, সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনী কৌশল, বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে এনসিপির ভেতরে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি নিজের ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন। প্রত্যেকেই নিজ নিজ রাজনৈতিক বোঝাপড়া ও বাস্তবতা বিবেচনায় অবস্থান নিয়েছে, আর কোন সিদ্ধান্ত সঠিক—তা সময়ই নির্ধারণ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নিজের নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় সামান্তা শারমিন বলেন, যেহেতু তিনি জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠনের সিদ্ধান্তকে সঠিক মনে করেন না, আবার একইসঙ্গে এই মুহূর্তে দল থেকেও পদত্যাগ করছেন না—তাই এনসিপি-জামায়াত জোটের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা জামায়াতের কাছ থেকে কোনো ধরনের সাংগঠনিক কিংবা আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করা তার কাছে নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। সে কারণেই তিনি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, এনসিপির ঘোষিত অবস্থান অনুযায়ী এটি কোনো আদর্শিক জোট নয়। ফলে আদর্শিকভাবে জামায়াতের রাজনীতির বিরোধিতা করা এনসিপির অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়।
সবশেষে সামান্তা শারমিন বলেন, জামায়াতের সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে এনসিপির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মোড়। এই সিদ্ধান্তের ফলাফলের সঙ্গে দলটির ভবিষ্যৎ রাজনীতি যেমন জড়িত, তেমনি তার নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎও যুক্ত। তিনি তার অবস্থানের রাজনৈতিক পরিণতির জন্য অপেক্ষা করবেন বলেও উল্লেখ করেন।