Image description

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনি ইশতেহারের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। ইশতেহারে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া, নৈতিক ও সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন অঙ্গীকার তুলে ধরা হবে। ইশতেহার প্রণয়নে বুদ্ধিজীবী ও দলীয় নীতিনির্ধারকদের পাশাপাশি নাগরিক মতামতকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

 

মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লিগের ব্যানারে অংশ নেয় জামায়াত। সে নির্বাচনে দলটি ছয়টি আসনে জয় লাভ করে। পরবর্তীতে নিজস্ব নামে যতবার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, কোনোবারই ২০টির বেশি আসন পায়নি জামায়াতে ইসলামি।

এবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে দলটি। ভোটের মাঠে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ অংশ নিচ্ছে না। ফলে জামায়াত মূলত বিএনপির প্রার্থীদের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই মধ্যে নির্বাচনি ইশতেহার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, এখন আমাদের সামনে লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। নৈতিক শিক্ষা, জাগতিক ও বৈষয়িক শিক্ষা, আধুনিক ও কারিগরি উৎপাদনমুখী শিক্ষার সমন্বয়ে একটি সমন্বিত শিক্ষা কারিকুলাম চালু করব, যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের হাতে আসে। এই শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে একদল তরুণ তৈরি হবে, যারা হবে আমাদের সম্পদ। এই তারুণ্যই দেশ গড়বে। সে কারণেই আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন করব। এরপর থাকবে সামাজিক ন্যায়বিচার।

নির্বাচনি অঙ্গীকারে আরও থাকবে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়া এবং জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি। ইশতেহারে শিক্ষা খাত পাবে বিশেষ গুরুত্ব। পাশাপাশি নারী ও সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার আশ্বাসও দেয়া হবে।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, নারীদের আস্থা আমাদের প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ নারীরা যে অধিকার ও সম্মান প্রত্যাশা করে, তা জামায়াতে ইসলামীর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে এমন বিশ্বাস তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে। একজন রিকশাচালকও তো এ দেশের নাগরিক। তার সন্তানের নাগরিক অধিকার ভোগ করার ক্ষেত্রে কেন ভিন্নতা থাকবে? এসব বিষয়ে সমন্বয় থাকবে। যেসব শিক্ষার্থী মেধাবী কিন্তু অর্থের অভাবে এগোতে পারছে না, সেদিকে আমাদের বিশেষ নজর থাকবে।

এদিকে ভোটাররা জামায়াতের কাছে কেমন ইশতেহার চান, তা অনলাইনের মাধ্যমে জানানোর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। দেশ গড়ার পরিকল্পনায় অংশীদার হতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের আমির।