Image description
 

দেশের চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা থাকলেও যথাসময়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে দল দুটির প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের এমন কথা জানান।

দুপুরে সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘ইসি আগামী ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখে নির্বাচন আয়োজন করতে চাচ্ছে। আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে বলেছি, যাতে এই ঘোষিত তারিখ যেটা আছে, এটা যাতে না পেছায়; যাতে নির্বাচনটা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়। কারণ, আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে এবং ভারত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে।’

১২ ফেব্রুয়ারি ভোট নিয়ে কোনো আশঙ্কা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশঙ্কা তো বাংলাদেশে রয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে বলেছি, যাতে ফেব্রুয়ারি ১২ তারিখে নির্বাচন করা যায়। আমরা আজকে অনুরোধ জানিয়েছি, মনোনয়ন আবেদনের যে তারিখগুলো আছে, সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা যায় কি না।’

নির্বাচন নিয়ে আপনাদের কোনো সন্দেহ বা উদ্বেগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উদ্বেগ আছে। একজন প্রার্থী অলরেডি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আমাদের প্রার্থীদের আমরা বলেছি, আপনারা বিধিমালাগুলো মেনে চলবেন। নির্বাচন কমিশনকেও বলেছি, সকল দলের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।’

বিকেলে সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসান মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘যেখানে যতটুকু আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে, আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণে এনেছি। উনাদের (ইসি) বলেছি, যেন তাৎক্ষণিকভাবে যাতে ব্যবস্থা নেন।’

জুবায়ের বলেন, ‘ওনারা (বিএনপি) বিভিন্ন ধরনের ওয়াদা করছেন যে আমরা এত লক্ষ, এত কোটি কার্ড দিব, এক একটা কার্ডে এত হাজার, এত লাখ টাকা পাবেন। এই ধরনের অনেকগুলো ওয়াদা করছেন, যেটা নির্বাচন বিধির অর্থাৎ আচরণবিধির সুনির্দিষ্ট খেলাফ।’

তারেক রহমানে দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না, তা নিয়েও ইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলেও জানান জামায়াতের এই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।

নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে এহসান মাহবুব বলেন, শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পরে জনমনে আতঙ্ক, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। আমাদের ৩০০ প্রার্থী মাঠে কাজ করছেন— এটা বাস্তব উদ্বেগ। আমরা বলেছি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, প্রশাসনকে আরও অ্যাকটিভ করতে হবে। আচরণবিধি লঙ্ঘিত হলে কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা দৃশ্যমান করার বিষয়ে ইসিকে বলা হয়েছে।

প্রার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের আমির, সেক্রেটারি জেনারেলসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ব্যাপক সফর করবেন। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কেউ অনেক ফ্যাসিলিটি পাবেন, ভিভিআইপি ফ্যাসিলিটিজ পাবেন, আবার কেউ পাবেন না। এটা তো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলো না। উনারা বলেছেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দেখেন, তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।

৩ তারিখে আপনাদের সমাবেশ রয়েছে, সেখানে আচরণবিধির ব্যাপারে আপনারা সতর্ক আছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসার, ইসিকে আশ্বস্ত করেছি, জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর করার জন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের উদ্যোগ।