Image description
 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা এখন তুঙ্গে। সেই সঙ্গে কৌতূহল আছে তার সঙ্গে ফ্লাইটে কারা আসছেন, তা নিয়েও। তারেক রহমান বাংলাদেশে বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফিরছেন। তার সফরসঙ্গী হচ্ছেন স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। তাদের সঙ্গে আরও থাকবে তাদের ‘পরিবারের সদস্য’ একটি বিড়াল।

তারেক রহমানকে বহনকারী উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার রাত সোয়া ১২টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন গণমাধ্যমে জানান, তারেক রহমানের সঙ্গে একই ফ্লাইটে দেশে ফিরছেন তার সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমান ও কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। তারেক রহমানকে বহনকারী ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।

তারেক রহমানের ব্যক্তিগত দুইজন স্টাফ ছাড়াও তাদের ‘পরিবারের সদস্য’ সেই বিড়ালটিও একই ফ্লাইটে থাকছে বলে বলে জানান মাহদী আমিন।

বিড়ালটি সম্পর্কে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তারেক রহমান বলেছিলেন, ‘প্রথমত এখানে একটু ক্লিয়ার করে নেই, বিড়ালটি আমার মেয়ের বিড়াল। ও এখন অবশ্য সবারই হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই ওকে আদর করি।’

এ বিষয়ে বলতে গিয়ে নিজের ছোটবেলার প্রসঙ্গে টানেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি হচ্ছে, এ রকম শুধু বিড়াল নয়, আমি এবং আমার ভাই যখন ছোট ছিলাম, আমাদের একটি ছোট কুকুরও ছিল। ইভেন, তখন আমাদের বাসায় আম্মা হাঁস-মুরগি পালতেন। ছাগলও ছিল আমাদের বাসায়। উনি ছাগলও কয়েকটি পালতেন। তো স্বাভাবিকভাবেই আপনি যেই দৃষ্টিকোণ থেকেই বলেন, পোষা কুকুর-বিড়ালই বলেন, বাই দ্য ওয়ে, কবুতরও ছিল আমাদের বাসায়। শুধু কবুতর নয়, আমাদের বাসায় একটি বিরাট বড় খাঁচা ছিল। সেই খাঁচার মধ্যে কিন্তু পাখি ছিল। বিভিন্ন রকমের এবং আবার আরেকটি খাঁচা ছিল, যেটার মধ্যে একটা ময়না ছিল।’

 

দীর্ঘ ১৭ বছর পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। দেশে ফেরার পর প্রথম তিন দিন বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন

 

বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে করে তারেক রহমানের তিন দিনের কর্মসূচির কথা জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ

 

তিনি বলেনআগামীকাল দুপুরে বিমানবন্দরে নামার পর দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তারেক রহমানকে স্বাগত জানাবেন। এরপর তিনি জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে তথা ৩০০ ফিট রাস্তায় সংবর্ধনাস্থলে যাবেন। সেখানে অপেক্ষায় থাকা নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন তিনি। এরপর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে কাকলীর মোড় হয়ে গুলশান২ নম্বরে বাসভবনে চলে আসবেন। সেদিন আর অন্য কোনো অনুষ্ঠান হবে না

 

 

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, পরদিন ২৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার জুমার নামাজের পর তারেক রহমান বাসভবন থেকে প্রথমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। সেখান থেকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর ২৭ ডিসেম্বর, শনিবারও দুটি কর্মসূচি রয়েছে। ওই দিন জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ করবেন তিনি। এ জন্য তারেক রহমান সশরীর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন অফিসে যাবেন কি না, সেটা পরে জানানো হবে। ওই দিনই ভোটার হতে সব কাজ করবেন। এরপর শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাবেন।