দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান হতে চললো। লন্ডনের নির্বাসিত জীবন শেষে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই দেশের মাটিতে পা রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি। তাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটটি সিলেট হয়ে ঢাকায় নামবে। রাজধানীর পূর্বাচলের তিনশ ফিট সড়কে ঐতিহাসিক সংবর্ধনায় দেশের মাটিতে সর্ব প্রথম সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেবেন তিনি। ইতিমধ্যে মঞ্চ তৈরির কাজও অনেকটা শেষ। ভাড়া করা হয়েছে বহু বাস, ট্রাক, মাইক্রো। বুকিং দেয়া হয়েছে দেশের সাতটি রুটের বিশেষ ট্রেন। কাজ করছে শৃঙ্খলা কমিটি, স্বেচ্ছাসেবক টিম। ঢাকার সাথে দেশের সকল জেলা, বিভাগে হবে স্বাগত মিছিল। বিএনপির নেতারা বলছেন- ১৭ বছর ধরে তাকে তার পরিবার, দেশ ও মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। তিনি তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি, এমনকি ছোট ভাইয়ের লাশ ও জানাজায়ও অংশ নিতে পারেননি। এসব ঘটনার জন্য স্বৈরচার শেখ হাসিনা দায়ী।
দলীয় নেতাকর্মী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তার এই প্রত্যাবর্তনকে শুধু একজন রাজনৈতিক নেতার দেশে ফেরা নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনীতির নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখছে বিএনপি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে শেখ মুজিবুর রহমান এবং গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বিপুল জনসমাগমের নজির রয়েছে। বিএনপি নেতাদের দাবি, তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে যে উদ্দীপনা ও প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে, তাতে উপস্থিতির দিক দিয়ে অতীতের সব আয়োজনকে ছাড়িয়ে যাবে এই গণসংবর্ধনা। ওইদিন ঢাকায় রেকর্ড সংখ্যক লোক সমাগম হবে। প্রায় ৩০ লক্ষাধিক দলীয় নেতাকর্মীসহ প্রায় ৫০ লাখ মানুষের উপস্থিতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের শক্তি প্রদর্শনের লক্ষ্যও রয়েছে এই আয়োজনকে ঘিরে।
ইতিমধ্যে তার এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বইছে উৎসবের আমেজ। বলা যায় তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন রূপ নিয়েছে ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে। নেতার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে এবং তাকে বরণ করতে শেষ মুহূর্তে অব্যাহত রয়েছে মহা কর্মযজ্ঞ। ‘লিডার আসছে’ ব্যানার নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ঢাকামুখী জনস্রোত। পল্টন দলীয় কার্যালয়, ৩০০ ফিট এলাকায় চলছে উৎসবের আমেজ।
ইতিমধ্যে দলের শীর্ষ নেতাকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার-বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে রাজধানী। নগরীর প্রধান সড়ক, অলি-গলি ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ঝুলছে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও বিলবোর্ড। এতে বড় অক্ষরে উৎকীর্ণ- ‘লিডার আসছে’, ‘হে বিজয়ী বীর, তোমাকে স্বাগত’ ইত্যাদি স্লোগান। রাজধানীর পল্টন, মৎস্য ভবন মোড়, কাকরাইল, মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজার, মহাখালী, গুলশান, বাড্ডা, মানিক নগর, যাত্রাবাড়ি, রামপুরা, খিলক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে লাগানো এসব ব্যানার-বিলবোর্ডে শোভা পাচ্ছে তারেক রহমানের ছবি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।তিনি গত ১৮ ডিসেম্বর ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেন এবং পরদিনই তা হাতে পান। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এর আগে বিমানটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করবে। এ সময় তার সফরসঙ্গীদের মধ্যে থাকবেন সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা জাইমা জারনাজ রহমান, মিডিয়া টিমের প্রধান আবু আবদুল্লাহ সালেহ, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবদুর রহমান সানি ও তাবাসসুম ফারহানা। বিমানবন্দরে অবতরণের পর দলের সিনিয়র নেতারা তারেক রহমানকে স্বাগত জানাবেন। এরপর এসএসএফ’র নিরাপত্তায় বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কুড়িল বিশ্বরোড সংলগ্ন ৩০০ ফিট এলাকায় নির্মিত সংবর্ধনা মঞ্চে উঠবেন তিনি। সেখানে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে প্রথম দেশের মাটিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখবেন। এরপর সমাবেশস্থল থেকে সরাসরি যাবেন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে। সেখানে মায়ের শয্যাপাশে কিছু সময় কাটিয়ে গুলশানে মায়ের বাসায় ফিরবেন
রাজধানীতে স্বাগত মিছিল: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে আসার উপলক্ষে রাজধানীতে স্বাগত মিছিল করেছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে আয়োজিত এ মিছিলে দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন এবং ছাত্রদলের সাবেক-বর্তমান নেতারাও অংশ নেন।মঙ্গলবার বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (পিজি হাসপাতাল) বটতলা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে মৎস্যভবনে গিয়ে শেষ হয়।কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সহসভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়ালের সভাপতিত্বে মিছিল-আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বিএনপির আইটি সেলের সদস্য মাহফুজ কবির মুক্তাসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, চিকিৎসক ও ছাত্রদল নেতারা।
সংবর্ধনা মঞ্চ থেকে মায়ের কাছে যাবেন তারেক রহমান: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরেই ঐতিহাসিক সংবর্ধনা মঞ্চে বক্তব্য শেষে তার মা বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।তিনি জানান, ২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে নেমে বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার পথে ৩০০ ফিট এলাকায় উপস্থিত জনসমাগমের উদ্দেশ্যে একটি সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন। এরপর তিনি তার মাকে দেখে বাসায় ফিরবেন।রিজভী বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজ দেশ বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন।
আগামী ২৫ ডিসেম্বর তার আগমন উপলক্ষে সারা দেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ তাকে এক নজর দেখার জন্য ঢাকায় আসবেন।তিনি বলেন, ২০০৭ সালের মইনুদ্দিন–ফখরুদ্দিন সরকার ছিল শেখ হাসিনারই সমর্থিত সরকার।১৭ বছর ধরে তাকে তার পরিবার, দেশ ও মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।তিনি তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি, এমনকি ছোট ভাইয়ের লাশ ও জানাজায়ও অংশ নিতে পারেননি। এসব ঘটনার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী।তিনি নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনসমাগম যত বড়ই হোক, সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে হবে। রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে প্রিয় নেতাকে শুভেচ্ছা জানাবেন। কোনো বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতা করা যাবে না। তিনি তার মাকে দেখে বাসায় পৌঁছানো পর্যন্ত সবাই শৃঙ্খলার সঙ্গে অবস্থান করবেন।
প্রস্তুত গুলশান ১৯৬: ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আগমনকে কেন্দ্র করে নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে বিএনপির গুলশান ও নয়াপল্টন কার্যালয়। প্রস্তুত গুলশান-২ এর এভিনিউ রোডের ১৯৬ নম্বর বাড়ি। এই বাড়িতে উঠবেন তিনি। গুলশান কার্যালয় এবং তার থাকার বাড়ির চারপাশে কাঁটাতার দিয়ে করা হয়েছে নিরাপত্তা বেষ্টনী।শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত লাগানো হচ্ছে প্রজেক্টর। যার মাধ্যমে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দৃশ্য লাইভ দেখানো হবে।
তিনশ ফিটে মঞ্চ প্রস্তুত: তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখতে ৩০০ ফিট এলাকা সংলগ্ন মহাসড়কে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল সংবর্ধনা মঞ্চ। রোববার দুপুর থেকেই মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি ৪৮ ফিট বাই ৩৬ ফিট মঞ্চকে ঝাকঝমক করা হচ্ছে। সংবর্ধনা কমিটির সদস্যরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, মঞ্চ তৈরি প্রায় চূড়ান্ত। বাকি কাজ অল্প সময়ে শেষ হয়ে যাবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং মহানগরের শীর্ষ নেতারা ক্ষণে ক্ষণে এসে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আমিনুল হকসহ অনেক সিনিয়র নেতারা এসে পরিদর্শন করে গিয়েছেন।
বিভিন্ন রুটে ১০টি ট্রেন: বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢাকায় যাতায়াতের উদ্দেশ্যে বিশেষ ট্রেন ও অতিরিক্ত কোচ বরাদ্দ করেছে রেলওয়ে। অন্যদিকে সেদিনের বিশেষ ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে নিয়মিত চলাচলকারী তিনটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে রেলওয়ে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির কর্মী ও সমর্থকদের যাতায়াতের জন্য ১০টি রুটে স্পেশাল (বিশেষ) ট্রেন পরিচালনা করা হবে এবং নিয়মিত চলাচলকারী একাধিক ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হবে। এ কারণে স্বল্প দূরত্বের রাজবাড়ী কমিউটার (রাজবাড়ী-পোড়াদহ), ঢালারচর এক্সপ্রেস (পাবনা-রাজশাহী) এবং রোহনপুর কমিউটার (রোহনপুর-রাজশাহী) ট্রেনের আগামী ২৫শে ডিসেম্বরের যাত্রা স্থগিত রাখা হবে। ট্রেনগুলো একদিনের জন্য যাত্রা স্থগিত করায় ওই রুটের যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার কারণে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। এ বাবদ রেলওয়ে প্রায় ৩৬ লাখ টাকা রাজস্ব পাবে। বিশেষ ট্রেন এবং অতিরিক্ত কোচে দলীয় নেতাকর্মীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে শর্ত হিসেবে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা-২০২৫ প্রতিপালন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
থাকবে কঠোর নিরাপত্তা বলয়: দেশের মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে কঠোর নিরাপত্তার বলয়ে থাকবেন তারেক রহমান। সরকারের পক্ষ থেকে তাকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)-এর নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রায় দুই হাজার সদস্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে। বিমানবন্দর থেকে ৩০০ ফিট হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল এবং গুলশান এভিনিউয়ের বাসভবন পর্যন্ত পুরো পথটি নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। পুলিশের স্পেশাল এস্কর্ট ছাড়াও সাদা পোশাকে ও পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি বিএনপি’র নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ‘চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স’ (সিএসএফ) সমন্বিতভাবে এই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২৩শে ডিসেম্বর থেকেই পুলিশের বিশেষ পাহারা শুরু হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত প্রতিটি থানা এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে নতুন করে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
প্রস্তুত বুলেট প্রুফ ‘হার্ড জিপ’: তারেক রহমানের ব্যবহারের জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করা বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন বুলেট প্রুফ ‘হার্ড জিপ’গাড়ি দেশে আনা হয়েছে। টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো এলসি ২৫০ মডেলের এই গাড়িটি ইতিমধ্যেই বিএনপি’র নামে নিবন্ধিত হয়েছে। এ ছাড়া তার নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য বুলেট প্রুফ বাসও দেশে চলে এসেছে। বাসটি রোববার চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে।
ভোটার হবেন ২৭শে ডিসেম্বর: তারেক রহমান নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণের জন্য আগামী ২৭শে ডিসেম্বর ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) প্রণয়নের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামী ২৫শে ডিসেম্বর দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন। ২৫শে ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার। শনিবার ২৭শে ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের অফিস খোলা থাকবে। ওইদিনই ভোটার হওয়া, ভোটার আইডি ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সব কার্যক্রম তিনি সম্পন্ন করবেন।