Image description

১৫০ আসন চেয়েছেন প্রশ্নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেছেন, এটি শোনা কথা। যে যেখানে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাকে সেখানেই দেব। পিরোজপুর সাইদির আসন, ছেড়ে দেব। যেখানে জামায়াত শক্তিশালী সেখানে আমরা ছেড়ে দেব। সমঝোতা হলে বরিশাল এবং বাকেরগঞ্জের দুই আসনেই নির্বাচন করবেন কিনা সেটির দলের সিদ্ধান্ত বলে জানান ইসলামি আন্দোলনের নায়েবে আমীর মুফতি ফয়জুল করিম।

 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

আসন সমঝোতার প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, এটি প্রায় চূড়ান্ত। দু’একদিনে ঘোষণা হবে। আমি একটি দলের আমীর। বরিশালের সিট কার তা বলার দরকার পরে না। জোট হলে অবশ্যই আমাদের ছেড়ে দেবে। আমিরের এলাকার সিটই যদি আমীর না পায় তবে আর জোট কিসের? এবং এটা ঔদ্ধত্য মূলক প্রশ্ন।

 

সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, দেশে হত্যা বেড়ে গেছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে। যারা নিজেদের শক্তিশালী দাবি করে তারা বিরোধীদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। আগামী নির্বাচনে অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ বজায় রাখতে পারে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করছি।

 

সিইসি উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিগত সিইসির পরিণতি কি হয়েছে তা আপনারা জানেন। তারা যেন ভবিষ্যতে মবের আওতাধীন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

 

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে কোন দুর্নীতিবাজকে নির্বাচিত করবেন না। দেশ ধ্বংসের দার প্রান্তে। দেশ কে রক্ষা করতে হবে।

 

অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে শঙ্কিত কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোটার, ক্যান্ডিডেট কেউ নিরাপদে নাই। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ছাড়া অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয়।

 

এ সময় উপস্থিতি ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর এ্যাসিস্টান্ট সেক্রেটারি মাওলানা নাসির উদ্দিন নাইস, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর সভাপতি মাওলানা সৈয়দ নাসির উদ্দিন কাওছার, মহানগরের নির্বাহী সদস্য মাস্টার আব্দুল হালিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।