Image description

নেত্রকোনার কাইলাটি গ্রামে একই সময়ে রহস্যজনকভাবে একটি ছাগলের খামারসহ আরও দুই স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তার কিছুক্ষণ আগেই এ সড়কে মশাল মিছিল করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীরা। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় খামারের ২৯টি ছাগল পুড়ে মারা গেছে বলে দাবি খামার মালিকের।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোররাতে সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের বড় কাইলাটি গ্রামে ব্রাদার্স খামারে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৩০টি ছাগলের মধ্যে ২৯টি ছাগল মারা গেছে বলে খামার মালিকের দাবি।

খামার মালিক মো. শাহ রফিকুর রহমান জানান, তার খামারের ৩০টি ছাগলের মধ্যে ২৯টি ছাগল পুড়ে মারা গেছে। এতে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এটি পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড। মেইন সড়কের পাশে এই এলাকায় ২০ থেকে ৩০ বছরে এমন আর হয়নি।

খামার মালিক বলেন, প্রথমে শুনেছি একটি খড়ের গাদায় আগুন লেগেছে। এরপর আবার একটি চালা ঘরে সেইসঙ্গে আমার খামারেও। তাই মনে হলো এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা।

তিনি আরও বলেন, পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলাম। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

কাইলাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নাজমুল হক জানান, ব্রাদার্স খামার ও কাছাকাছি এলাকার মিল্লাতের বাড়িতে একটা ঘর পুড়েছে, একটা ছনের ঘরও পুড়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত নাশকতা বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে, একই সময়ে পাশাপাশি আরও একটি ছনের গাদা ও ছন রাখার চালা ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে নেত্রকোনা ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার আলম খান জানান, তিনটি ঘর পুড়েছে। একটি ছনের চালা ঘর পুড়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ থেকে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জয়বাংলা স্লোগানে রাতে ওই সড়কে একটি মশাল মিছিল বের হয়। ওই মিছিলের পরপরই ভোররাত ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।

শীর্ষনিউজ