Image description

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় পল্টনের বক্স কার্লভার্টের সামনে দিয়ে রিকশায় করে যাওয়ার সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। রিকশায় করে চলাচলের সময় খুন হতে পারেন বলে আগেই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন হাদি।

সম্প্রতি সময় সংবাদকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছিলেন তিনি। আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একটা বড় বাধা হয়ে থাকবে বলে মনে করেন কিনা-- এমন প্রশ্নের জবাবে হাদি বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। সেই টাকাগুলো তো তাদের কাছে আছে।  
 
 

 

 

বাংলাদেশের মতো জায়গায় ৫ হাজার টাকায় কন্ট্রাক্ট কিলিং করানো সম্ভব মন্তব্য করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক বলেছিলেন, 

 

যেকোনো মাদকাসক্ত কাউকে দিয়ে আপনি রিকশায় চড়ে যাচ্ছেন, এই যেমন আমি সারাদিন ঘুরি, আমাকে একটা পোস মেরে চলে যাবে!

 

 
 
হাদি বলেছিলেন, এই যে আওয়ামী লীগ মিছিলে লোক নামায়, সেখানে কি কেউ আওয়ামী লীগের লোক? আওয়ামী লীগের এক বা দুজন থাকেন, বাকিদেরকে ৫ বা ১০ হাজার টাকা দিয়ে দুই মিনিটের জন্য মিছিলে নামানো হয়। কিন্তু এরপর যে ধরা খায়, তাকে থানায় নেয়া হয়।
 
ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 

 

আমাদেরকে বলা হয়, আমাদের সমাজ ও রাজনীতি কবে পরিবর্তন হবে? আসলে আপনি যত ভালো কথা বলেন না কেন, এক পয়সারও লাভ হবে না, যতদিন না আমাদের আর্থিক সংগতি তৈরি হয়, যতদিন মানুষের মধ্যে চরম দারিদ্র্য থাকে। আর ততদিন পর্যন্ত এখানে আপনি একটা ভালো রাষ্ট্র পাবেন না। কারণ চরম দারিদ্র্য মানুষকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং অপরাধপ্রবণ করে তুলে। আমাদের দেশে এখনও চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে অনেক মানুষ আছে। আমরা যদি সবার জন্য ন্যূনতম একটা ভালো আর্থিক জীবন তৈরি করতে পারি, ধনী-গরিবের বৈষম্যটা দূর করতে পারি, তাহলে আশা করি নির্বাচনে ভোট কিনতে কেউ পারবে না।

 

 
 
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো শিক্ষকের কাছে কিন্তু কেউ ভোট কিনতে যায় না। কারণ সে ৫ হাজার টাকায় ভোটটা বিক্রি করবে না। কিন্তু যেই লোকটার নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সে কিন্তু বেচবে। এজন্য আমরা যতদিন না পর্যন্ত মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে পারবো, ততদিন সমাজ বা রাষ্ট্রবিজ্ঞান যত পড়ান, মুক্তি ঘটবে না। এখন আমরা যদি ওই লড়াইয়ে পৌঁছাতে পারি, তবে আমরা একটা ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারবো।’