Image description

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম ধাপের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বগুড়া-৬ আসনে দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন আব্দুল্লাহ-আল-ওয়াকি। এই আসনেই ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে লড়বেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

ইসি–র তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সাল পর্যন্ত বগুড়া-৬ ছিল বিএনপির শক্ত ঘাঁটি। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত চারবার এই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

২০০৮ সালে বিকল্প ধারার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ওয়াকি এবার এনসিপির ব্যানারে নির্বাচন করছেন। তিনি বলেন,
“এনসিপি মনোনয়নের জন্য আবেদন আহ্বান করেছিল। আমি আবেদন করলে তারা আমাকে গ্রহণযোগ্য মনে করেছে। এটা আমার জন্য আনন্দের।”

এনসিপির কোনো নেতৃত্বস্থানীয় পদে বা জেলা-উপজেলা পর্যায়ের রাজনীতিতে ওয়াকি আগে যুক্ত ছিলেন না। অন্য দলেও তার সক্রিয়তা ছিল সীমিত। তবে দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান থেকেই তিনি নির্বাচন করছেন বলে দাবি তার।

তিনি জানান, ২০০৭ সালের এক/এগারোর সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০০৮ সালে বিকল্প ধারার মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরবর্তী সময়ে ‘জনতার শক্তি’ নামে নিজস্ব সংগঠন গড়ে তুললেও সেটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পায়নি।

এনসিপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, “এনসিপি দেশের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাদের সম্মান, বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা আছে—এ কারণেই এনসিপিতে এসেছি।”

বিকল্প ধারা থেকে সরে আসা নিয়ে ওয়াকি বলেন, “বিকল্প ধারা রাজনৈতিক জোটে ছিল। প্রতিষ্ঠাতা একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুর পর তাদের অবস্থান অস্পষ্ট। আমার মনে হয়েছে তারা আর ফিরে আসতে পারবে না।”

চলতি বছরের মার্চে ওয়াকি দেশে ফেরেন। তিনি ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান এবং সেখানেই চাকরি শুরু করেন।

যুক্তরাজ্য থেকে নিয়ে বিএসসি পাস করেছেন। তার পেশা থেকে বছরে আয় করেন ৮ লাখ টাক। এই টাকা থেকে বছরে তার ৫ লাখ টাকা ব্যয় হয় বলে হলফনামায় জানিয়েছিলেন।

ওই সময় তার কাছে নদগ টাকা ছিল তিন লাখ। এবং বৈদেশিক মুদ্রা ছিল ৩ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশের দুটি বেসরকারি ব্যাংকে ২ লাখ টাকা জমা ছিল। মোটরগাড়ি ও মোটরসাইকেল মিলে তার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৭ লাখ টাকার। আর ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ছিল ৩ লাখ টাকার। ওই সময় হলফনামার ঘোষণা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে তার ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার যৌথ মালিকানায় একটি বাড়ি রয়েছে।

নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য নিজ আয় হতে তিনি ৫ লাখ টাকা খরচ করতে চেয়েছিলেন। আর তাকে তার বাবা, মামা ও বোন মিলে ৪ লাখ টাকা স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে নির্বাচনে দান করেছিলেন।

বগুড়া-৬ আসনে এবার জামায়াতের পক্ষ থেকে বগুড়া শহর জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল নির্বাচন করবেন। তিনিও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, দলীয় সভা-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন। এ আসনে বাসদ জেলা সদস্য সচিব দিলরুবা নূরীকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।