Image description
 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশ গড়ার পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা এই মুহূর্তে বিএনপি ছাড়া আর কারো কাছে নেই। তিনি বলেন, কোন দল আছে সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে, কেউ আছে সংস্কার নিয়ে আবার কোন দল জান্নাতের টিকিট নিয়ে বসে আছে। তবে দেশ গড়ার পরিকল্পনা বা চিন্তা কারো নেই।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কেআইবি মিলনায়তনে বিএনপি'র উদ্যোগে 'দেশ গড়ার পরিকল্পনা' শীর্ষক কর্মসূচিতে
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

এ সময় তারেক রহমান বলেন, বিএনপির সবচেয়ে বড় সম্পদ দেশের জনগণ। তাই জনগণের উন্নয়নই বিএনপি'র কাছে মুখ্য বিষয়। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আমাদের শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছি না, আমাদের মূল লক্ষ্য একটি সুখী সমৃদ্ধি ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র বিনির্মাণে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন সম্ভব হলে আমাদের বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে। ৩১ দফার মধ্য থেকে ৮টি অতীব জনকল্যাণমূলক দফা লিফলেট তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো নিয়ে সাধারণ মানুষের দরজায় যেতে হবে।

বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে একজন নারী কিভাবে তার সংসারকে সবদিক দিয়ে সচ্ছল করার সুযোগ পাবে সেটি তাকে বোঝাতে হবে। একজন কৃষক ফারমার্স কার্ডের মাধ্যমে কিভাবে উপকৃত হবে, কিভাবে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে সেটি তাকে বোঝাতে হবে। স্বাস্থ্য কার্ডের মাধ্যমে কিভাবে একেবারে প্রান্তিক জনগণও স্বাস্থ্যসেবা পাবে সেটি তুলে ধরতে হবে।

তারেক রহমান বলেন, একমাত্র জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারেরই জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকে। আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রধান হাতিয়ার নির্বাচন। কারণ নির্বাচিত সরকার না থাকলে দেশ সবদিক দিয়ে পিছিয়ে যায়। বর্তমানে দেশে কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, মানুষ কর্মসংস্থান হারাচ্ছে, বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে।

জনগণের ভোটে বিএনপি নির্বাচিত হলে দেশের সকল শ্রেণীর মানুষকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করা হবে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে কিভাবে সবাইকে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে দেয়া যায়। একজন রিক্সা চালক কেন ৩৫ বছর ধরে শুধু রিক্সাই চালাবে। তাদের জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা
করা হবে। বিভিন্ন খাতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে, সারা দেশ থেকে খেলোয়াড় তৈরি করা হবে। যার যে খাতে দক্ষতা আছে তাকে সেখান থেকে তুলে আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে তরুণ সমাজ। তাই শিক্ষা খাতে বিশেষ নজর দেবে বিএনপি। প্রকল্প শুরু হবে একেবারে প্রাইমারি পর্যায় থেকে। বহু ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ক্লাসরুমে ফ্রি ওয়াইফাই চালু করা হবে।

সবশেষে তিনি বলেন, দেশ গড়ার পরিকল্পনায় সকল শ্রেণীর পেশার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করাই বিএনপি'র আজকের অঙ্গীকার।

শীর্ষনিউজ