বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যারা এতদিন নির্বাচন নির্বাচন বলে দেশকে অস্থির করে তুলেছিলেন, তাদের মুখে এখন ক্ষীণ স্বরে ভিন্ন কথা শোনা যাচ্ছে। তারা বুঝে গেছেন, তাদের চলমান অপকর্মে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ, এবার লাল কার্ড দেখিয়ে দেবে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে সিলেটের ঐতিহাসিক সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ইসলামী ও সমমনা ৮ দলীয় জোটের বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবস্থা বেগতিক দেখে কেউ কেউ মনে করছেন প্রশাসনিক ক্যু করে ক্ষমতায় যাবেন। বন্ধুরা, সেই বাংলাদেশে আর হয়ে উঠবে না, সেই সূর্য ডুবে গেছে।
অন্য ইসলামি দলগুলোকে ইঙ্গিত করে জামায়াত আমির বলেন, অন্য ঠিকানায় আপনাদের বড় বেমানান লাগে। আপনারা ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসেন, আমরা বুক পেতে নেব। আপনারা কেন চাঁদাবাজি ও অপকর্মের অংশীদার হবেন।
তিনি বলেন, দেশের ফ্যাসিস্টরা পালিয়ে গেছে, কিন্তু ফ্যাসিস্টের কালো ছায়া এখনো যায়নি। একদল চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য করে পালিয়ে গেছে। বর্তমানে দ্বিগুণ উদ্যমে আরেক দল চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আগামী নির্বাচন শুধুমাত্র জাতীয় সংসদ নয়, এটা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নির্বাচন। একটি দল শুরু থেকেই জুলাই সনদের বিরোধিতা করে আসছে। ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়ে তাদের দাঁত ভাঙা জবাব দিতে হবে।
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। সমাবেশের সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগর শাখার নায়েবে আমির ড. নুরুল ইসলাম বাবুল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির ফখরুল ইসলাম।
সমাবেশে অতিথি হিসেবে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম, ইসলামী ঐক্যজোটের আমির মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন।
সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত মজলিস, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোট, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।