জুলাই অভ্যুত্থানের পর দেশবাসীর প্রত্যাশা প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, আমরা ভেবেছিলাম দেশে সংস্কার হবে, দুর্নীতি রোধ হবে। কিন্তু এক শ্রেণির ক্ষমতালোভীরা দেশ সংস্কারের পরিবর্তে আবার ক্ষমতার অলিতে-গলিতে ছুটছে। তারা শুধু পাগল নয়-ডাবল পাগল।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুর নগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আন্দোলনরত জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করিম বলেন, ক্ষমতা প্রেমিকরা বারবার ক্ষমতায় গেছে। কিন্তু জাতিকে তারা কী দিয়েছে? দিয়েছে শুধু পুরান বউ, নতুন শাড়ির মতো উপহার-ধোঁকা ছাড়া আর কিছু নয়। নতুন শাড়িতে পুরান বউ উপহার দিয়ে আর মানুষকে প্রতারিত করা যাবে না। ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ।
চরমোনাই পীর বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে কেবল ক্ষমতা বদলের জন্য নয়। তারা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে সেই শক্তিকে উৎখাত করতে, যারা বিদেশি প্রভুত্বের কাছে জাতিকে জিম্মি করে রেখেছিল। কিন্তু আজও যদি কেউ মনে করে ওয়ান-টু করে আবার ক্ষমতায় যাবে-তাহলে জানিয়ে দিচ্ছি, সেই দিন আর নেই।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ এখন অপেক্ষা করছে কবে নির্বাচনের বাক্স আসবে।
চরমোনাই পীর উদাহরণ টেনে বলেন, আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে দেশকে ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। তার সেই ত্যাগ কোনো চাঁদাবাজ-কালো টাকাওয়ালাদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। ক্ষমতালোভীদের বলছি-ক্ষমতা দেখিয়ে, দাপট দেখিয়ে বা টাকার বুলি ঝরিয়ে আর ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যের পাশাপাশি বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহসভাপতি রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম।
এর আগে সমাবেশে বক্তব্য দেন রংপুর মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল হুদা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহানগর সেক্রেটারি আমিরুজ্জামান পিয়াল, জামায়াতে ইসলামীর নগর আমির এটিএম আজম খান ও জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রব্বানী।