গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তারিক রিফাত (৫৫) নামের স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। রোববার বিকেল চারটার দিকে তাকে জেলা কারাগারে আনা হয়। কারাগারে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই রিফাত অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেল হাজতির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা জেল সুপার আনোয়ার হোসেন।
স্থানীয়রা জানায়, তারিক রিফাত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর রাজাহার ইউনিয়নের প্রভুরামপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিএসএসের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের আহ্বায়ক ছিলেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, ‘তারিক রিফাত তিনটি বিস্ফোরক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। মামলা তিনটি হলো- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, গত বছরের ৫ আগস্ট নিজ এলাকা রাজাহার ইউনিয়নে ককটেক বিস্ফোরণ এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা জামায়াত অফিস ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ। সর্বশেষ মামলায় গত ১৭ নভেম্বর তাকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বলমঝাড় ইউনিয়নের ঝিনেস্বর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে পরদিন তারিক রিফাতকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। রোববার তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হলে তাকে পুলিশ জেলা কারাগারে পাঠায়।
গাইবান্ধা জেল সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রোববার বিকেল চারটার দিকে আসামিকে আমাদের কাছে নিয়ে আসা হয়। সাড়ে চারটার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে দেওয়া তার মেডিকেল সার্টিফিকেটে হৃদরোগসহ অন্যান্য সমস্যার কথা উলেখ ছিল।’
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসিফুর রহমান জানান, ‘জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিশির চন্দ্র ঘোষ বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে রোগীকে যখন রিসিভ করেন, তখন রোগী জীবিত ছিলেন না। তার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।’
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, ‘আসামি তারিক রিফাতকে জামায়াতের অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় ১৭ নভেম্বর আটক করা হয়। অসুস্থতাজনিত কারণে তাকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। রোববার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’