গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে অভিযোগ করেছেন, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেজুড়বৃত্তিহীন ছাত্র রাজনীতি বা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুলেছিলেন, তারাই এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে শুধুমাত্র ছাত্র সংসদকেন্দ্রিক রাজনীতির আলোচনা যখন উঠেছিল, তখন তিনি এর বিরোধিতা করেছিলেন। কারণ হিসাবে তিনি দাবি করেন, ওই সময় যেসব ‘মিষ্টি কথা’ বলা হয়েছিল, তার মূল লক্ষ্য ছিল অন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর রাজনীতি দুর্বল করা।
রাশেদ খান আরও বলেন, অবাক করার বিষয় হলো—ছাত্র সংসদের নির্বাচিত নেতারাও এখন দলীয় প্রতীকের প্রচারণায় যুক্ত হচ্ছেন। অথচ তারা শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সময় দলীয় লেজুড়বৃত্তিহীন রাজনীতির অঙ্গীকার করেছিলেন।
তিনি অভিযোগ করেন, অতীতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির অভিযোগ তুলে ছাত্র অধিকার পরিষদকে দুর্বল করা হয়েছিল। কিন্তু যারা এ অভিযোগ তুলেছিলেন বা উসকে দিয়েছিলেন, তাদের অনেকেই এখন দলীয় প্রতীকের প্রচারক হিসাবে সক্রিয়—ছাত্র সংসদের নেতারাও এর মধ্যে রয়েছেন।
রাশেদ খান দাবি করেন, সবচেয়ে কম লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ, কিন্তু সংগঠনটির উত্থান অনেকের পছন্দ হয়নি বলেই নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তার ভাষায়—বন্ধুর বেশে ছুরি মারা হয়েছে।
পোস্টে তিনি আরও বলেন, তিনি পরিচ্ছন্ন ছাত্র রাজনীতি চান। তার মতে, দলীয় লেজুড়বৃত্তিতে জড়িত ছাত্র সংসদের প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতিতে কোনো গুণগত পরিবর্তন আনতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন লেজুড়বৃত্তিহীন ছাত্র সংসদ।
শীর্ষনিউজ