Image description
 

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার শরীয়তপুর-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সফিকুর রহমান কিরণের পক্ষে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে সাধারণ ভোটারদের ‘হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।

 

মঙ্গলবার ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ মাথাভাঙা গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে নির্বাচনি প্রচারণার এক উঠান বৈঠকে বক্তব্য প্রদানকালে কাচিকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম খান এ হুমকি দেন। তিনি কাচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ছিলেন।

বুধবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতার এ হুমকির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে বইছে নানা সমালোচনা। ভোটারদের মধ্যে বইছে আতঙ্ক! 

উঠান বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ধানের শীষ প্রার্থী সফিকুর রহমান কিরণকে যারা ভোট দিবেন তারা সেন্টারে ভোট দিতে আসবেন, আর যারা চুরি করে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেবেন তাদের দক্ষিণ মাথাভাঙা ৩নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসার দরকার নাই। আমরা দক্ষিণ মাথাভাঙার লোকজন জংলি হিসেবে পরিচিত। তাই আর জংলি হিসেবে পরিচিত থাকতে চাই না। ধানের শীষে আগামী ফেব্রুয়ারির ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সফিকুর রহমান কিরণ ভাইকে নির্বাচিত করতে হবে। তাহলে আমরা জংলি হিসেবে পরিচিতি থেকে মুক্তি পাব। এই এলাকার নদীভাঙন রোধ ও বেড়িবাঁধ নির্মাণ হবে।’

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিএনপির সামনের সারিতে আসেন তিনি। সে বিএনপির স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপির পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে এতে মনে হচ্ছে বিএনপির ভোট আরও কমছে।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমি আবেগে সেদিন জননেতা সফিকুর রহমান কিরণ ভাইয়ের পক্ষে ধানের শীষে ভোট চেয়েছিলাম এলাকার উন্নয়নের জন্য। তবে বক্তব্য আমি ভুলভাবে দিয়েছি। সেই বিষয়েও পরবর্তীতে আরেকটি বক্তব্য রাখছি। তবে এই ভিডিওটা সৌদি আরব থেকে একজন ছেড়েছেন। আমি বিষয়টি নিয়ে ক্ষমাপ্রার্থী।