বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেছেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা চালিয়ে কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। জুলাই আগস্টের অভ্যুত্থানকে দমন করতে প্রায় চৌদ্দশ ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। তারা অনেকেই সাধারণ মানুষ, দেশের স্বার্থে গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে। একটা সুন্দর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ তারা দেখতে চেয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ভোলার লালমোহনের মঙ্গলসিকদার বাজারে শ্রী হরিসাধুর মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ গণহত্যার কারণে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের কাছে অনুরোধ করা হবে, হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। দেশে এলে তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি গ্রহণ করতে হবে।
মেজর হাফিজ বলেন, গত ১৭ বছরের ইতিহাস ভয়াবহ ইতিহাস। আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনা মানুষের ওপর যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছে- পৃথিবীর ইতিহাসে এই নিষ্ঠুরতার কোনো তুলনা নাই। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আবু সাঈদসহ ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা মনে করেছিল- এভাবে বোধহয় জীবন যাবে। কেয়ামত পর্যন্ত রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে পারবে; কিন্তু সাধারণ মানুষ, ছাত্র, অভিভাবক সবাই মিলে আন্দোলন করে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা করে তাদের পতন ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, অত্যাচারী আওয়ামী লীগ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। কত অত্যাচার ভোগ করার পর এখন মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারছে সবাই।
মন্দির কমিটির সভাপতি পবন কান্তি শীলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবুল, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ছাদেক মিয়া জান্টু, লালমোহন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিরব কুমার দে, ধলী গৌরনগর (পূর্ব) ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইউসুফ মেম্বার, পশ্চিম শাখার সভাপতি দেলোয়ার হোসেন নসু, যুবদল সভাপতি আজাদ হোসেন সোহাগ প্রমুখ।